মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে গত এক সপ্তাহে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে জান্তা সেনাবাহিনীর ১০৬ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া জান্তা বাহিনী দুই পিডিএফ সদস্যকে হত্যা করেছে।
মিয়ানমারের ম্যাগওয়ে, মান্দালে সাগাইং, বাগো এবং তানিনথারাই অঞ্চলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
পিপুল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (পিডিএফ) গোষ্ঠীর বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বোগো রাজ্যের ইয়েদাশে টাউনশিপে জান্তাবাহিনীর ওপর বড় হামলা চালায় পিডিএফ গোষ্ঠী। পিডিএফ দাবি করেছে, জান্তা বাহিনী গ্রাম লুটের সময় অতর্কিত হামলায় ৩০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
এছাড়া জান্তাবাহিনীর বিপুল সমরাস্ত্র পিডিএফ গোষ্ঠী দখলে নিয়েছে। জান্তার বাহিনীর লুট করা মালামাল গ্রামবাসীর কাছে হস্তান্তর করেছে তারা। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কায়াহ রাজ্যে সেনাবাহিনীর খাদ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র পরিবহনের সময় কারেন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় জান্তা বাহিনীর ৯ সদস্য নিহত হয়েছে।
ম্যাগওয়ে রাজ্যের কিয়াথু টাউনশিপে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত পিডিএফ গোষ্ঠীর হামলায় ২৫ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়া বহু জান্তা সেনা আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
এদিকে শুক্রবার ম্যাগওয়ে রাজ্যের ইসাগায়ো টাউনশিপে দুই পিডিএফ সদস্যকে তুলে নিয়ে যায় জান্তা সেনারা। পরে তাদের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে জান্তা বাহিনী। পিডিএফ গোষ্ঠী জানায়, শনিবার তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার কথা ছিল। দুই সদস্যকে হত্যার প্রতিশোধ নেয়া কথা জানিয়েছে পিডিএফ গোষ্ঠী।
মিয়ানমারে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে সহিংস দমননীতি গ্রহণ করে জান্তা সরকার। এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কয়েক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী। সহিংসতার জেরে কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে গঠন করে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। এরপর থেকেই জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে তারা।