ইউক্রেন সফরে গিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনের সফরের সমালোচনা করে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একাংশ বলছেন, পর নয়, বাইডেনের উচিৎ আগে ঘর সামলানো।
চলতি সপ্তাহে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। সংঘাত শুরুর প্রায় এক বছর পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেন সফর করছেন বাইডেন। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তিনি কিয়েভে পৌঁছান তিনি। ঝটিকা সফরে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন।
সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠককালে বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘বড় ভুল’। তার কথায়, ‘পুতিনের যুদ্ধ পরিকল্পনায় বিস্তর গলদ রয়েছে।’ এছাড়া রুশ বাহিনীর হামলা ঠেকাতে আরও ৫০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।
এদিকে বাইডেনের এ সফর নিয়ে তার নিজ দেশেই ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। রীতিমতো তোপ দাগছেন বিরোধীরা। বলছেন, নিজের দেশের সংকট অগ্রাহ্য করছেন অথচ কিয়েভকে সমর্থন ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট।
বাইডেনের এই সফরকে ‘রাজনৈতিক সফর’ বলে অভিহিত করেছেন বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির নারী আইনপ্রণেতা (প্রতিনিধি পরিষদের সংসদ সদস্য) অ্যান্ডি ওগলেস। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘ওহাইও’র ইস্ট প্যালেস্টাইনে পরিবেশ দূষণের কারণে বিপদের মধ্যে রয়েছে স্থানীরা। সেসব লোকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগে ইউক্রেন সফর করলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।’
চলতি মাসের শুরুর দিকে (৩ ফেব্রুয়ারি) ওহাইও রাজ্যের ইস্ট প্যালেস্টাইনে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে বিষাক্ত রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই এলাকার পরিবেশ ও প্রকৃতি সংকটের মুখে পড়েছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েক হাজার অধিবাসী। টুইটারে এ ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে বাইডেনের সমালোচনা করেছেন ওগলেস।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দিবস। দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের সম্মানে দিনটি পালিত হয়। এদিন দেশ ছেড়ে বাইডেনের বিদেশে যাওয়ার বিষয়টিও বিরোধীদের সমালোচনায় উঠে এসেছে। বহু রিপাবলিকানই বিষয়টির সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন,প্রেসিডেন্ট দিবসেই বাইডেন দেশ ত্যাগ করেছেন। আল জাজিরা।