দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো বাংলাদেশ জুনিয়র ওপেন টেনিস। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছেন ৭০ জন খেলোয়াড়। তবে টুর্নামেন্ট নিয়ে কোনো প্রচারণা নেই ফেডারেশনের। একেবারে দায়সারাভাবেই আয়োজন হচ্ছে এ টুর্নামেন্ট।
জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে চলছে বাংলাদেশ জুনিয়র ওপেনের প্রথম ম্যাচ। কিন্তু প্রথম দেখায় যে কারো মনে হতে পারে খেলার পূর্বপ্রস্তুতি নিচ্ছেন খেলোয়াড়রা। দুজন খেলোয়াড় ছাড়া কোর্টে নেই কোনো ম্যাচ অফিশিয়াল। ঠিক এমনভাবে চলছে জুনিয়র ওয়ার্ল্ড টেনিস সিরিজের প্রথম পর্বের ম্যাচ।
এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে কোনো প্রচার-প্রচারণাও চালায়নি ফেডারেশন। খুব সাদামাটাভাবে আয়োজিত হচ্ছে টুর্নামেন্টটি। ম্যাচ পরিচালনার জন্য নেই কোনো চেয়ার আম্পায়ার ও লাইন আম্পায়ার। আর মাঠে নেই কোনো বলবয়। খেলোয়াড়রা নিজেরাই ঠিক করছে খেলার স্কোরবোর্ড। এসব নিয়ে খুব দায়সারা উত্তর দিলেন টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার।
তিনি বলেন, ‘খেলায় যদি কোনো সমস্যা হয়, সেটা দেখার জন্য আমাদের এখানে সুপারভাইজার আছে। বলবয় রাখাটা আসলে জরুরি কিছু নয়। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট, আইটিএফ টুর্নামেন্টেও কোনো বলবয়, আম্পায়ার থাকে না। আমিও যখন বিদেশে বিভিন্ন আইটিএফ টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েছি, তখনও কোনো বলবয় ছিল না, আম্পায়ার ছিল না।’
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জুনিয়র টেনিস র্যাঙ্কিংয়ে স্থান করে নিতে পারবে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়রা। আর টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আরও বড় পরিকল্পনা করছে ফেডারেশন।
এ বিষয়ে হায়দার বলেন, ‘এখান থেকে যারা চ্যাম্পিয়ন হবে তাদের সাউথ এশিয়া এবং সাউথ ইস্ট এশিয়ার মাস্টার্স টুর্নামেন্টে খেলার জন্য টিকিট দেয়া হবে। এ ছাড়া বুলগেরিয়ার আলবেনিয়ায় তাদের খেলার সুযোগ দেয়া হবে।’
২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বের খেলা। আর ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বিকেএসপিতে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব।