স্মরণকালের শক্তিশালী ভূমিকম্পের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় আবারও ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শুধু তাই নয়, এর পরপরই তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। পরে আরও ৩২টি পরাঘাত বা আফটারশকেও কেঁপে ওঠে অঞ্চলটি।
সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৮টা ৫ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় প্রদেশে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। এতে নতুন করে অন্তত তিন জন নিহতের পাশপাশি দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। এছাড়াও ভূমিকম্পে হাতায় প্রদেশের আন্তাকিয়া শহর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হওয়া এ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল হাতায় প্রদেশের আন্তাকিয়া এবং আদানা শহরের মাঝামাঝি অঞ্চল। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য জানা না গেলেও, আন্তাকিয়ার মধ্যাঞ্চলে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে গোটা এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পরপরই হাতায় প্রদেশে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। নতুন করে আফটারশকের আশঙ্কায় গোটা এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। জীবনরক্ষায় বাড়িঘর ছেড়ে এরই মধ্যে রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা।
ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকারীদের তৎপর হতে দেখা গেছে। গেল ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের পর থেকেই যেসব উদ্ধারকারীরা ওই অঞ্চলটিতে অভিযান পরিচালনা করে আসছিলেন, তাদেরও নতুন করে বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে। একের পর এক ভূমিকম্পে গোটা এলাকায় এখন বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।