রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধাগোষ্ঠী ওয়াগনারের মতো বেসরকারি সামরিক কোম্পানি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের নেতা রমজান কাদিরভ। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামের নিজস্ব চ্যানেলে তিনি এ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
টেলিগ্রাম পোস্টে ৪৬ বছর বয়স্ক কাদিরভ লিখেছেন, দেশের হয়ে আমার দায়িত্ব যখন শেষ হবে তারপরেই আমাদের প্রিয় ভাই ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মতো একটি বেসরকারি সামরিক কোম্পানি গড়ে তুলব। আমি মনে করি এতে সফল হব।
কাদিরভ আরও বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, যে ওয়াগনার ইউক্রেনে সামরিক দিক থেকে তার দক্ষতা দেখিয়েছেন। এ ধরনের বেসরকারি সামরিক কোম্পানির প্রয়োজন আছে কিনা তা আলোচনা সময় এসেছে।’
কাদিরভ এবং প্রিগোজিন ইউক্রেনের বেশিরভাগ অংশে রাশিয়ার সামরিক কমান্ড বাইরে স্বাধীনভাবে কাজ করে। উভয় ব্যক্তিই পুতিনের কট্টর মিত্র। তবে তারা রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে কথা বলেছেন।
প্রথাগত রাশিয়ান সামরিক কমান্ড কাঠামোর বাইরে ওয়াগনারের উত্থান পশ্চিমা কূটনীতিকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, যে এ ধরনের সামরিক কোম্পানি একদিন রাশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
রমজান কাদিরভ, প্রাক্তন চেচেন প্রেসিডেন্ট আখমাদ কাদিরভের ছেলে। রমজান কাদিরভ প্রিগোজিনের সঙ্গে জোট গঠন করেছেন। তারা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ক্রমাগত সমালোচনা করছে। এছাড়া যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে আরও জোরাল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রিগোজিন, সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ দশক ডাকাতি এবং জালিয়াতির জন্য কারাগারে কাটিয়েছেন। বহু বছর ধরে পুতিনের সহযোগী ছিলেন। তার তৈরি ওয়াগনার গ্রুপ ইউক্রেন যুদ্ধে যথেষ্ট সক্রিয়। তারা ডোনেটস্ক অঞ্চলের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতে মাসব্যাপী আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তবে সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন প্রিগোজিনের রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাস করার দিকে এগোচ্ছে। তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রকাশ্যে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা না করতে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে তার নাম বা ওয়াগনার গ্রুপের কথা উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।