রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্ক ও খারকিভে অবিরাম গোলাবর্ষণে অন্তত তিন জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। হামলার পেছনে একে অপরকে দুষছে মস্কো ও কিয়েভ। এর মধ্যেই, ইউক্রেন নিজ ভূখন্ডে পারমাণবিক হামলার পরিকল্পনা করে মস্কোর ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্কে অবিরাম গোলাবর্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। বিধ্বস্ত হয়ে যায় কয়েকটি আবাসিক ভবন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মেয়র। এ হামলার পেছনে ইউক্রেনীয় সেনাদের দায়ী করেছেন অঞ্চলটির রুশ কর্মকর্তারা। যদিও মস্কোর এমন অভিযোগে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি কিয়েভ। বরং খারকিভে পুতিনবাহিনীর গোলাবর্ষণে বেশ কয়েকজন হতাহতের পাল্টা অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।
সম্প্রতি ইউক্রেনজুড়ে হামলা জোরদার করেছে রুশ সেনারা। এ অবস্থায় ইউক্রেনে গোলাবারুদের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহে বাইডেন প্রশাসনকে চাপ দিতে মার্কিন কংগ্রেসের কর্মকর্তাদের আবারও আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। কিয়েভকে দ্রুত গোলাবারুদসহ যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহে মিত্র দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয় চাইলেও, দেশটির ধ্বংস চায় না ফ্রান্স। এক সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, অনেক দেশ রাশিয়ার ভেতর হামলা এবং দেশটির সরকার পরিবর্তনের কথা বলেছে। তবে ফ্রান্স কখনোই রাশিয়ার সরকার পরিবর্তন চায়নি এবং ভবিষ্যতেও চাইবে না।
ম্যাক্রোঁর এ সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা অভিযোগ করে বলেন, ম্যাক্রোঁ ক্রেমলিনের সঙ্গে ‘দ্বিমুখী’ কূটনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির।