প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে। প্রতিবার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। ভোট চোরদের দেশের মানুষ মেনে নেয়নি, মেনে নেবেও না।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার এবং ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত ৬ লেনে উন্নীত হওয়া সড়ক উদ্বোধন শেষে তিনি বক্তব্য দেন।
শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি ২১ ফেব্রুয়ারিতে নিহত ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা ও ১৫ আগস্টের শহীদদের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোট কারচুপি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে না, আসবেও না। জনগণ না চাইলে আমরা একদিনও ক্ষমতায় থাকবো না। আমরা সসম্মানে বিশ্বে মাথা উঁচু করে থাকতে চাই।’
এ সময় ১৯৯৬ সালে বিএনপির করা নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের ভোট নিয়ে সচেতন। আওয়ামী লীগ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আপানাদের মনে আছে, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করেছিল। জনগণের ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিল। কিন্তু দেশের জনগণ মেনে নেয়নি। ওই বছরের ৩০ মার্চ মাত্র দেড় মাসের মাথায় খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল জনগণের আন্দোলনের ফলে। ভোট চুরি দেশের মানুষ মেনে নেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একই অবস্থা করেছিল ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে। দুর্নীতি, চুরি, নির্যাতন, মানুষের অধিকার হরণসহ দেশকে বিশ্ব দরবারে কলঙ্কিত করেছিল। যার জবাব জনগণ আবার আন্দোলন করে তাদের হটিয়ে দিয়েছে। ২০০৮ নির্বাচনে তারা মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। কাজেই আমরা দেশের উন্নয়ন করেছি বলেই জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আছি। জনগণকে বিভ্রান্ত করে কোন লাভ নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে আমরা প্রথম সরকার গঠন করি। তখন ১৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ৩শ মেগাওয়াটে উন্নীত করি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে আমরা এগিয়ে যাই।