মার্কিন ধনকুবের জর্জ সরোসের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় ভারত। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করায় সরোসকে কটাক্ষ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সরোসকে ধনী, জেদি ও বিপজ্জনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
হঠাৎ আলোচনায় ৯২ বছর বয়সী মার্কিন ধনকুবের জর্জ সরোস। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে সমালোচনার জেরে তিনি তোপের মুখে ভারতীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতাদের। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছিলেন, সোরেস ভারতবিরোধী চক্রান্ত করছেন, তিনি ভারতীয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চান।
স্মৃতি ইরানির পর শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও সরোসের বক্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা করলেন। তাকে বুড়ো, ধনী, জেদি ও বিপজ্জনক আখ্যায়িত করে জয়শংকর বলেন, এ ধরনের মানুষ ভাবেন, তিনি যা মনে করেন, সেটাই ঠিক। পুরো বিশ্ব সেই ভাবনাতেই চলবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর বলেন, তার মতে ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, তবে প্রধানমন্ত্রী মোদি গণতন্ত্রপন্থি নন। এ ধরনের মানুষ যা ভাবেন তা সঠিক প্রমাণে প্রচুর অর্থ খরচ করেন। তাদের পছন্দমতো ব্যক্তিরা জিতলে মনে করেন নির্বাচন ভালো হয়েছে। আর না জিতলেই ঐ দেশের গণতন্ত্র খারাপ। তারা বোঝাতে চান, খোলামেলা সমাজের স্বার্থে এসব করা হচ্ছে। এটা ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই নয়।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সিডনিতে এক অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর ভারত সরকারের গণতন্ত্রের পক্ষে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। একই সঙ্গে বলেন, ঔপনিবেশিকতা কী, ভারতবাসী তা জানে। বাইরের শক্তি নাক গলালে কী ধরনের বিপদ হয়, তাও জানা আছে।
জর্জ সরোস সম্প্রতি জার্মানির মিউনিখে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আদানি গোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিতর্ক নিয়ে কথা বলার সময় নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে জালিয়াতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, মোদিকে পার্লামেন্ট ও বিনিয়োগকারীদের কাছে এর জবাবদিহি করতে হবে। তাহলেই ভারতে গণতন্ত্রের নবজাগরণ ঘটবে।
এর আগেও সরোস মোদি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের মধ্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে তিনি মতপ্রকাশ করেছিলেন। সিএএর সমালোচনাও করেছিলেন।