তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল আর্সেনাল। তাদের জয়ে অবশ্য অবদানটা ছিল অ্যাস্টন ভিলার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজেরও। তার আত্মঘাতী গোলে যোগ করা সময়ে লিড নিয়ে ফের প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে ফিরেছে গানাররা।
ভিলা পার্কে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অ্যাস্টন ভিলাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে আর্সেনাল। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত দুদল ২-২ গোলের সমতায় থাকলেও, শেষদিকে মার্টিনেজের ভুলে ২টি গোল বেশি হজম করে স্বাগতিকরা।
আর্সেনালের হয়ে গোল তিনটি করেন বুকায়ো সাকা ও ওলেকসান্দার জিনচেনকো ও মার্টিনেল্লি। অন্য গোলটি ছিল আত্মঘাতী। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে একটি করে গোল করেন ওলি ওয়াটকিন্স ও ফিলিপে কৌতিনিয়ো।
এদিকে তিন ম্যাচ পর জয় তুলে নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে হটিয়ে ফের লিগের শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে আর্সেনাল। ২৩ ম্যাচে গানারদের পয়েন্ট ৫৪। সমান ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানসিটি। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১১তম স্থানে অ্যাস্টন ভিলা।
ভিলা পার্কে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অ্যাস্টন ভিলাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে আর্সেনাল। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত দুদল ২-২ গোলের সমতায় থাকলেও, শেষদিকে মার্টিনেজের ভুলে ২টি গোল বেশি হজম করে স্বাগতিকরা।
আর্সেনালের হয়ে গোল তিনটি করেন বুকায়ো সাকা ও ওলেকসান্দার জিনচেনকো ও মার্টিনেল্লি। অন্য গোলটি ছিল আত্মঘাতী। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে একটি করে গোল করেন ওলি ওয়াটকিন্স ও ফিলিপে কৌতিনিয়ো।
এদিকে তিন ম্যাচ পর জয় তুলে নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে হটিয়ে ফের লিগের শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে আর্সেনাল। ২৩ ম্যাচে গানারদের পয়েন্ট ৫৪। সমান ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানসিটি। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১১তম স্থানে অ্যাস্টন ভিলা।
মৌসুমের শুরু থেকে উড়তে থাকা আর্সেনাল যেন মাঝপথে এসে হারিয়েছে ছন্দ। শেষ তিন ম্যাচে জয়হীন গানাররা। ম্যানসিটি ছাড়াও টেবিলের তলানিতে থাকা এভারটনের বিপক্ষেও হেরেছে মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে মাঠ ছেড়েছে ড্র নিয়ে। শেষদিকে নাটকীয়তা না ঘটলে আর্সেনালের বিপক্ষেও সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হতো।
ভিলা পার্কে এদিন ম্যাচ শুরুর পঞ্চম মিনিটেই ওয়াটকিন্সের গোলে পিছিয়ে পড়ে আর্সেনাল। ম্যাথু ক্যাশের বাড়ানো ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুণি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ওয়াটকিন্স।
পিছিয়ে পড়ে আক্রমণে ধার আনে আর্সেনালও। আক্রমণ, পাল্ট আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। ১৬ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান সাকা। বেন হোয়াইটের বাড়ানো বল টাইরন মিঙ্গস ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও সেটা চলে যায় সাকার কাছে। বাঁ পায়ের জোরালো শটে জালবন্দি করেন এ ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
এর ১৫ মিনিট পর গানারদের ফের পিছিয়ে দেন ভিলার ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কৌতিনিয়ো। বাঁ প্রান্ত থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাস এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া আলতো ছোঁয়ায় পাঠান কৌতিনিয়োর কাছে। ডি-বক্সে বল পেয়ে নিচু শটে দলকে লিড এনে দেন কৌতিনিয়ো।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়ায় দুই পক্ষের মধ্যে। সাকা-কৌতিনিয়োরা ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন। সাকার উদ্দেশে কৌতিনিয়োকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও করতে দেখা যায়।
লড়াইয়ে ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে আর্সেনাল। অনেক চেষ্টার পর ৬১ মিনিটে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। মার্টিন ওডেগারের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকেই জোরালো শট নেন জিনচেনকো। তার বুলেট গতির শট ফেরাতে ব্যর্থ হন মার্টিনেজ।
৮২ মিনিটে গোল হজম থেকে বেঁচে যায় আর্সেনাল। লেয়ন বেইলির শট গোলরক্ষকের গ্লাভস ছুঁয়ে পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
নির্ধারিত সময় শেষেও ম্যাচ যখন ড্রয়ের পথে হাঁটছিল তখনই মার্টিনেজের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় গানাররা। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের অবশ্য কিছুই করার ছিল না। জর্জিনিয়োর নেয়া জোরালো শট ক্লিয়ার করতে ঝাপিয়ে পড়েন তিনি। বল বারে লেগে ফিরে আসার পথে তার মাথায় লেগে আবার জালে জড়ায়। শেষ গোলটা অবশ্য উপহারই দিয়েছেন মার্টিনেজ।
ম্যাচের শেষদিকে কর্নারের সুযোগ কাজে লাগাতে নিজের পোস্ট ছেড়ে আর্সেনালের বক্সে চলে এসেছিলেন তিনি। কর্নার ফেরানোর পর পাল্টা আক্রমণে ফাঁকা পোস্ট পেয়ে যান ফাবিও ভেইরা। বেশ খানিকটা এগিয়ে তিনি বল বাড়ান মার্টিনেল্লিকে। ফাঁকা পোস্টে অনায়াসে বল জড়িয়ে নেন তিনি। জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে পুরো আর্সেনাল শিবির।