মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করতে কালশীতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে কালশী বালুর মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পৌঁছান তিনি। অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এই অনুষ্ঠান থেকে ২.৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভারটির উদ্বোধন ঘোষণা করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। একই সঙ্গে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত ৬ লেনে উন্নীত হওয়া সড়কের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। কালশী ফ্লাইওভার ও ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক ৬ লেনে প্রশস্ত হওয়াকে মিরপুরবাসীর জন্য আশীর্বাদ উল্লেখ করে উৎসবমুখর এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এর ফলে আরও সহজ হবে যাতায়াতব্যবস্থা।
মিরপুরের থেকে বিমানবন্দর, উত্তরা, বাড্ডা, বনানী ও মহাখালীর সঙ্গে যোগাযোগের পথ আরও সুগম হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে মিরপুর থেকে যাওয়া যাবে বিমানবন্দরে।
প্রকল্পটিকে ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি অনুমোদন দেয় একনেক। চলতি বছরের জুনে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রায় ৪ মাস আগেই কাজ শেষ হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্লাইওভারটি চালু হলে কয়েক কোটি মানুষের ব্যস্ত নগরীর মিরপুরের সঙ্গে বিমানবন্দর, উত্তরা, অন্যদিকে বাড্ডা, বনানী ও মহাখালীর সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। ইসিবি চত্বর থেকে সরাসরি এ উড়ালপথ ধরে চলে যাওয়া যাবে পল্লবী কিংবা মিরপুরে। মিরপুর ১১, ১২, পল্লবী থেকে ইসিবি চত্বর যেতে আর কোথাও থামতে হবে না। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে মিরপুর থেকে বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে।
ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে সমান তালে চলতে তৈরি হয়েছে সড়ক। ৩৭.২ মিটার প্রস্থ ও প্রায় চার কিলোমিটারের এ সড়ক চালুর কারণে যানজট অনেক কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মূল ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৩৩৫ মিটার। ৪৭৫ মিটারের র্যাম্প রয়েছে ৫টি। ৬৮টি স্প্যানের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এ উড়ালসড়কের গার্ডার সংখ্যা ১৭টি।
বিএনসিসি ও বাংলাদেশ আর্মি (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) ১ হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছে।