যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে শনাক্ত হওয়া রহস্যজনক বেলুনগুলোর সঙ্গে চীনা গোয়েন্দা নজরদারির কোনো সম্পর্কে নেই বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। চীনের নিজস্ব গবেষণাকাজে কিংবা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এগুলো ওড়ানো হয়ে থাকতে পারে বলেও জানানো হয়। যদিও এর আগে রহস্যজনক ওই বেলুনগুলোর সঙ্গে চীনা সামরিক বাহিনীর যোগসাজশ থাকতে পারে বলে জানিয়েছিল ওয়াশিংটন।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে ওঠে আসে এসব তথ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে রহস্যজনক বেলুন শনাক্ত এবং এগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনার মধ্যেই এবার অজ্ঞাত বস্তুগুলোর সঙ্গে চীনা গোয়েন্দা নজরদারির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি। একই সঙ্গে চীনের নিজস্ব গবেষণাকাজে কিংবা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এগুলো ওড়ানো হয়ে থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রশাসন এখন পর্যন্ত বিধ্বস্ত হওয়া ৩টি রহস্যময় বস্তুর ধ্বংসাবশেষের কোনো খোঁজ পায়নি। উভয় দেশই এগুলো উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় প্রথমবারের মতো রহস্যজনক বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করে মার্কিন যুদ্ধবিমান। এরপর গত কয়েকদিনে মিশিগান, আলাস্কা এবং কানাডার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের আরও অন্তত ৩টি বেলুন ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র। রহস্যজনক ওই বেলুনগুলোর সঙ্গে চীনা সামরিক বাহিনীর যোগসাজশ থাকতে পারে বলে সে সময় ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
আকাশে বেলুন ওড়ানো নিয়ে ওয়াশিংটন-বেইজিং উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চীনের আকাশসীমায় একই ধরনের রহস্যজনক বস্তু দেখা গেলে তা ভূপাতিত করে চীনা যুদ্ধবিমান। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১০ বারের বেশি চীনা আকাশসীমায় অবৈধভাবে বেলুন ওড়ানোর অভিযোগ তোলে বেইজিং। যদিও চীনের আকাশসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের বেলুন ওড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন হোয়াইট হাউস মুখপাত্র।
এদিকে বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে চীনের গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়ে তেমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নিজেদের আকাশসীমায় শনাক্ত হওয়া রহস্যজনক বস্তুগুলো চীনা নজরদারি বেলুন ছিল বলে মনে করছে জাপান। বস্তুগুলোর তথ্য নতুন করে বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এমন ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।