ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পড়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশের মানুষের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর মতো খাদ্য মজুত নেই সরকারের কাছে। এমন দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সিউলের দাবি, পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে ২ দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো সেনা সদস্যদের রেশন কমাতে বাধ্য হয়েছে কিম প্রশাসন।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
গত কয়েক দশক ধরেই বন্যাসহ নানা প্রকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তর কোরিয়া। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার দাবি, করোনা মহামারির কারণে খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে দেশটিতে। আর পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পরিস্থিতিকে করেছে আরও ভয়াবহ।
উত্তর কোরিয়ার খাদ্য সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, এবার এমন দাবি করেছে দেশটির প্রতিবেশী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম কৃষি বিষয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের একটি ‘জরুরি’ বৈঠকে বসার পরিকল্পনার খবর প্রকাশ করে। ওই বৈঠকের মাধ্যমে পিয়ংইয়ং কার্যত তাদের গুরুতর খাদ্য সংকটের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগে থেকে সংকটে থাকা উত্তর কোরিয়ার অবস্থা আরও নাজুক হয়েছে বলেও জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সিউল।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গণমাধ্যম দাবি করেছে, ২০০০ সালের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়া তাদের সেনা সদস্যদের রেশনে কাটছাঁট করেছে। দেশের মানুষের নূন্যতম চাহিদা মেটানোর মতো খাদ্য মজুত নেই সরকারের কাছে। এর আগে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মনিটরিং গ্রুপ থার্টি এইট নর্থ এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৯৯০ সালের দুর্ভিক্ষের পর খাদ্য নিরাপত্তা সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে উত্তর কোরিয়ায়।
এদিকে সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। গত ০৬ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।