এবার আকাশপথে হামলা চালাতে ইউক্রেনের সীমান্তে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার জড়ো করতে শুরু করেছে রাশিয়া। সম্প্রতি ন্যাটোর গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আল জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের নতুন মোড় নিতে দেশটির ওপর ব্যাপকভাবে বিমান হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। এবার আকাশপথে হামলা চালাতে কিয়েভের কাছে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার জড়ো করছে মস্কো। সম্প্রতি এমন তথ্য দিয়ে এসব সতর্ক করেন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর গোয়েন্দারা।
ন্যাটোর দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানায়, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ফিক্সড-উইং এবং রোটারি বিমান জড়ো করছে।
ন্যাটো সদর দফতরের এক বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইইক্রেনে বড় হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাশিয়ার যথেষ্ট যুদ্ধবিমান এবং শক্তি আছে। কিন্তু ইউক্রেনের বর্তমান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার হামলা প্রতিরোধে জন্য পর্যাপ্ত নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত কিয়েভের জন্য পর্যাপ্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাওয়া না যাচ্ছে ততক্ষণ কাজ করে যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাশিয়ার স্থলভাগের সেনাদের শক্তি অনেকটাই কমে গেছে। তাই রাশিয়া তার আকাশ শক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। এদিকে রাশিয়া তাদের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে নরওয়ের গোয়েন্দা সংস্থা। রাশিয়ার এসব যুদ্ধজাহাজার কথা নরওয়ের গোয়েন্দা সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে আসে। ধারণা করা হচ্ছে, গত ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম রাশিয়া তাদের নৌবহরে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে।
নরওয়ের গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, রাশিয়ার ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র ন্যাটো দেশগুলোর জন্য নির্দিষ্টভাবে গুরুতর হুমকি। নৌবহরে আরও রয়েছে স্যাটেলাইট বিধ্বংসী অস্ত্র, সাইবার সরঞ্জাম। যা নরওয়ে ও ন্যাটোর জন্য হুমকি হতে পারে। সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলে শীতল যুদ্ধের সময়ে উত্তরীয় নৌবহরের যুদ্ধজাহাজে প্রায়ই পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন থাকত। তবে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই প্রথম নৌবহরটিতে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের দাবি উঠেছে।