ভূমিকম্পের ৯ দিন পার হলেও এখনো সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পৌঁছায়নি কোনো ধরনের ত্রাণসহায়তা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলটিতে দেখা দিয়েছে খাবার, ওষুধ ও বাসস্থানের তীব্র সংকট। ত্রাণের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা। সিরিয়ায় এরই মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আমিরাত।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
ভূমিকম্পে যেন ধ্বংসস্তূপের নগরীতে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকা। তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়ার পাশাপাশি ত্রাণসহায়তা কার্যক্রম শুরু করলেও সিরিয়ার এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা এবং হাতেগোনা কয়েকটি দেশ মানবিক সহায়তা করলেও পাঠায়নি কোনো উদ্ধারকারী দল।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে খাবার ও ওষুধের জন্য দেখা দিয়েছে চরম হাহাকার। ভয়াবহ ভূমিকম্পের ৯ দিন পার হলেও পৌঁছায়নি কোনো ধরনের বিদেশি সহায়তা। বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন অসংখ্য মানুষ। তাদের অভিযোগ, তুরস্কে ত্রাণ সরবরাহ করা হলেও সিরিয়ায় দেয়া হচ্ছে না কোনো সহায়তা।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তি বলেন, ভূমিকম্পের পর প্রায় ৪ হাজার পরিবার ঘুমানোর জায়গা পাচ্ছি না। এখানকার ২৭০টি ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এক হাজারের বেশি ভবন বসবাসের উপযোগী নয়। গত ৯ দিন ধরে কোনো সহায়তা পাচ্ছি না। স্থানীয় প্রশাসন কিছু সাহায্য করলেও আন্তর্জাতিক কোনো সহায়তা পায়নি।
আরেকজন বলেন, ঘুমানোর জায়গা নেই, শীত নিবারণের কাপড় নেই। এগুলো কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু নারী, শিশু এবং ভূমিকম্পে আহতদের কোনো সাহায্য করতে পারছি না। হাসপাতালে ফেলে রাখা ছাড়া কোনো উপায় নেই এখানে।
এরই মধ্যে সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা বাড়িয়েছে প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ ছাড়া প্রতিবেশী আরেক দেশ সৌদি আরবও প্রথম দফায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ শুরু করেছে। জাতিসংঘের মাধ্যমে এসব সহায়তা বিতরণ করা হলেও সুষম বণ্টনের অভিযোগ করেছে আসাদ সরকার। তাদের কেবল বিদ্রোহী-অধ্যুষিত এলাকা পাঠানো হচ্ছে সহায়তা। তবে জাতিসংঘের দাবি, নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর পাশাপাশি এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে নারী ও শিশুদের।