ফ্রান্সকে পেছনে ফেলে বিশ্বে স্কচ হুইস্কির সবচেয়ে বড় বাজার হয়ে উঠেছে ভারত। গত বছর (২০২২) আগের বছরগুলোর তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি স্কচ হুইস্কি আমদানি করেছে দেশটি। এমনটাই জানিয়েছে স্কটল্যান্ডের স্কচ হুইস্কি বাণিজ্য বিষয়ক সংস্থা স্কচ হুইস্কি অ্যাসোসিয়েশন (এসডব্লিউএ)।
এসডব্লিউএ’র তথ্য মতে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ৬০ শতাংশ বেশি স্কচ হুইস্কি আমদানি করেছে ভারত। গত বছর তারা ২১ কোটি ৯০ লাখ বোতল স্কচ হুইস্কি আমদানি করেছে। একই সময়ে ফ্রান্স আমদানি করেছে ২০ কোটি ৫০ লাখ বোতল।
এক্ষেত্রে ভারত শীর্ষে থাকলেও তুলনামূলকভাবে তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালে ১২৭ কোটি ডলারের স্কচ হুইস্কি আমদানি করেছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটি। তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত।
বিবিসি বলছে, স্কচ হুইস্কিকে ভারতীয়রা পদমর্যাদার প্রতীক হিসেবে গণ্য করেন। তবে বিশ্বের স্কচ হুইস্কি মার্কেটের মাত্র দুই শতাংশ তারা আমদানি করে থাকে। তুলনামূলক কম দামি এই মদই ভারতীয়দের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তবে সম্প্রতি দামি হুইস্কিরও চাহিদা বাড়ছে।
বৈশ্বিক স্কচ হুইস্কি মার্কেটে ভারতের প্রভাব কম থাকলেও গত এক দশকে দেশটিতে এই মদ আমদানি বেড়েছে ২০০ শতাংশেরও বেশি। আমদানি করা স্কচ হুইস্কিতে ১৫০ শতাংশ কর আদায় করে ভারত। মূলত দেশীয় কোম্পানির মদ বিক্রির জন্যই এই পদক্ষেপ।
গত অক্টোবরে ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। তবে শিগগিরই চুক্তিটি সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে ভারত আরও বেশি স্কচ হুইস্কি আমদানি করবে বলে আশা এসডাব্লিউএ’র। সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, করোনা পরবর্তী সময়ে ভারত ছাড়াও তাইওয়ান, চীন ও সিঙ্গাপুরেও স্কচ হুইস্কি আমদানি বেড়েছে।
এসব দেশে স্কচ হুইস্কি আমদানির প্রবৃদ্ধি দুই ডিজিটে চলে গেছে। বিবিসি জানিয়েছে, হুইস্কি আমদানিতে এতদিন শীর্ষে ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে ২০২২ সালে তাদের পিছিয়ে ফেলেছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল।
গত বছরে ১৮ কোটি ইউরোর স্কচ হুইস্কি আমদানি হয়েছে এই অঞ্চলে, যা স্কটিশ হুইস্কির মোট বিক্রির ২৯ শতাংশ। এছাড়া গত বছর বৈশ্বিকভাবে স্কটিশ স্কচ হুইস্কির বিক্রি বেড়েছে ৩৭ শতাংশ, অর্থের হিসেবে এটি ৬২০ কোটি ইউরো।