সৌদি আরবে শুরুটা ভালো হয়নি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। শুরুতে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন এই পর্তুগিজ মহাতারকা। এর মধ্যে সৌদি সুপার কাপ থেকে আল-নাসরের বিদায়ের পর সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল রোনালদোকে। সে সময় রোনালদোর গোল মিস করাকে আল-নাসরের বিদায়ের কারণ বলে মন্তব্য করেছিলেন কোচ রুডি গার্সিয়া।
এরপর অবশ্য নিজেকে ফিরে পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি রোনালদোর। এক ম্যাচেই করেছেন চার গোল। আল-ওয়েহদার বিপক্ষে ওই ম্যাচ দিয়ে নিজেকে যেন নতুন করে প্রমাণ করলেন ৩৮ বছর বয়সী রোনালদো, যা ক’দিন আগে সমালোচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া কোচ গার্সিয়ার কথার সুরও পাল্টে দিয়েছে। সতীর্থদের সঙ্গে রোনালদোর বোঝাপড়াও জমে উঠেছে বলে জানিয়েছেন এই কোচ।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে বিশ্বকাপ চলাকালেই ক্লাব ছাড়েন রোনালদো। এরপর রেকর্ড বেতনে রোনালদো পাড়ি জমান সৌদি আরবে। মরুর বুকে রোনালদোর শুরুটা হয় লিওনেল মেসি-নেইমারদের পিএসজির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে। সেই ম্যাচে জোড়া গোলও করেছিলেন ‘সিআর সেভেন’। তবে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে খুঁড়িয়েই শুরু হয় রোনালদোর। পড়তে হয় পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনায়ও।
তবে এখন রোনালদো দলের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আল-নাসর কোচ গার্সিয়া। তিনি বলেন, ‘রোনালদো তার সতীর্থদের সঙ্গে একতা ও সম্প্রীতির দারুণ একটা পর্যায়ে পৌঁছেছেন। সময়ের সঙ্গে তার সতীর্থরাও বুঝতে পারছেন যে, সে কী চায় এবং কখন সে গোল করতে চায়। আমার মনে হয়, চার গোল করার রাতটা তার জন্য দারুণ ছিল।’
তবে সুপার কাপ থেকে আল-নাসরের বিদায়ের পর ভিন্ন কথা বলেছিলেন গার্সিয়া। সে সময় রোনালদোর গোল মিস ম্যাচের গতিপথ বদলে দিয়েছে উল্লেখ করে গার্সিয়া বলেছিলেন, ‘খেলোয়াড়দের নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ এবং সব সময় রোনালদোকে বল দেয়ার চেষ্টা করা যাবে না।’
এখন হয়তো সবশেষ লিগ ম্যাচে দাপুটে রোনালদোকে দেখে নিজের মত পাল্টে নিয়েছেন গার্সিয়া।