যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় বেলুন উড়ানোর ঘটনায় এবার চীনের ৬ প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র। চীনের গোয়েন্দা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, চীনের আকাশযান ও গোয়েন্দা বেলুন প্রকল্পের সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন বাণিজ্য দফতর।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় একটি গুপ্তচর বেলুন উড়তে দেখা যায়। বেলুনটি আলাস্কা থেকে সাউথ ক্যারোলাইনা পর্যন্ত দিনব্যাপী ওড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের এফ-২২ যুদ্ধবিমান থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বেলুনটি ধ্বংস করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। উড়ে আসা সন্দেহভাজন গুপ্তচর বেলুনের বিষয়ে চীনের তীব্র নিন্দা জানান মার্কিন আইনপ্রণেতারা।
ওয়াশিংটনের অভিযোগ, চীনের সামরিক বাহিনী উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বেলুন ব্যবহার করে গোয়েন্দা তথ্য এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র নীতির পরিপন্থী। তাই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করতে পারে এমন কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে মার্কিন প্রযুক্তি ক্রয়-বিক্রয় সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হবে বলেও জানায় ওয়াশিংটন।
মার্কিন শিল্প, নিরাপত্তা এবং বাণিজ্যবিষয়ক উপসচিব অ্যালান এস্তেভেজ এক বিবৃতিতে বলেন, উঁচুতে উড়তে সক্ষম এমন বেলুন ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়াশিংটনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের কালোতালিকাভুক্ত ৬ প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে বেইজিং নানজিয়াং এরোস্পেস টেকনোলজি কোম্পানি, চায়না ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি গ্রুপ করপোরেশন, ৪৮ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঈগলস মেন অ্যাভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ কোম্পানি। নিষেধাজ্ঞাভুক্ত এসব চীনা কোম্পানিগুলো সরকারি অনুমোদন ছাড়া মার্কিন সরঞ্জামাদি ও প্রযুক্তিপণ্য সংগ্রহ করতে পারবে না বলেও জানায় মার্কিন বাণিজ্য দফতর।
এদিকে ওয়াশিংটনের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং। মূলত আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার উদ্দেশ্যে বেলুন ওড়ানো হয় বলে দাবি চীনের। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনায় মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে।