মিয়ানমারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সহায়তায় আগ্রহী নাগরিকদের অস্ত্র দেয়ার কথা ভাবছে জান্তা সরকার। পাঁচ ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, মিয়ানমারের সাগাইং, কোচিন ও কারেনসহ বিভিন্ন রাজ্যে জান্তা সেনাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সেনাদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে প্রতিদিনই জান্তা সেনা নিহত হচ্ছে বলে দাবি করছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সহিংসতায় প্রতিদিন গড়ে অন্তত নয় সেনা নিহত হচ্ছে। এ ছাড়া দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হচ্ছে আরও অনেকে। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সহায়তায় আগ্রহী নাগরিকদের অস্ত্র দেয়ার কথা ভাবছে জান্তা সরকার।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগ্রহীদের মাঝারি, হালকা ও ভারী পাঁচ ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করা হবে। জান্তা সরকারপন্থি নাগরিক এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জান্তাবিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, জান্তা সরকারের পক্ষে আছেন এমন চিহ্নিত নাগরিকদের অস্ত্র দিয়ে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরকে দাবিয়ে রাখতে চাইছে প্রশাসন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে দেশজুড়ে সহিংসতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে মিয়ানমারের সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। চলমান সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।