রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি।।
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীতে রেখা খাতুন (২২) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে হত্যাকারি প্রধান আসামী হযরত আলীকে (২৩) কে আটক করেছে র্যাব ১৪।
মঙ্গলবার রাতে র্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার পূর্ব ইজলামারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটক হযরত আলী রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব ইজলামারী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। অন্যদিকে হত্যার শিকার রেখা খাতুন উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি কান্দাপাড়া গ্রামের আবুল হাশেমের মেয়ে।
র্যাব-১৪,সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান বলেন মানসিক প্রতিবন্ধী যুবতী রেখা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হলে র্যাব এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে র্যাবের নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী হযরত আলীকে আটক করা হয়।
এ সময় হযরত আলীর কাছ থেকে ওই যুবতীর ব্যবহৃত সীমসহ একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। হযরত আলী এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা। পরে বুধবার ভোরে আটক আসামীকে রৌমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাবের হাতে আটক হযরত আলীকে বুধবার ভোরে থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানার ওসি রুপ কুমার সরকার।
প্রসঙ্গত গত শনিবার (৪ফেব্রয়ারী) রাত ১২টার দিকে মায়ের কাছ থেকে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন চেয়ে নেন মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণী রেখা খাতুন। এরপর তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঘমারা নামক এলাকার একটি গম ক্ষেত থেকে গলায় উড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে ওই দিন অজ্ঞাতদের আসামী করে রৌমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।