ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। উভয় দেশের কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।
স্মরণকালের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর বাড়িঘর-আবাসিক স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে তুরস্কে। এরইমধ্যে পার হয়ে গেছে পাঁচদিন। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জীবিত উদ্ধারের আশা একেবারেই কমে এসেছে। তবু তীব্র শীতের মধ্যে স্বজনদের একটু অপেক্ষা যদি জীবিত অবস্থায় সন্ধান পাওয়া যায় পরিবারের সদস্যদের। মৃত্যুর হিসাবে ১৯৯৯ সালের ইস্তাম্বুল ভূমিকম্পকে ছাড়িয়ে গেছে এবারের ভূমিকম্প। ইস্তাম্বুলে সেসময় ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ১৭ হাজার ১২৭ জন।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, সবশেষ তথ্য অনযায়ী তুরস্কে ২০ হাজার ৬৬৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আর সিরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে দেশটিতে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ তুরস্কের ভূমিকম্প এলাকা থেকে প্রায় ৯৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ সহায়তায় প্রায় ১ লাখ ৬৬ হাজার লোক জড়িত রয়েছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ভূমিকম্পের পর দুই দেশে অন্তত ৮ লাখ ৭০ হাজার মানুষের জরুরিভাবে খাদ্যের প্রয়োজন।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই তীব্র শীতের কারণে দ্বিতীয় দফায় আরেক বিপর্যয় ঘনিয়ে আসতে চলেছে সিরিয়ায়। এতে সিরিয়ায় উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে দেশটির নাগরিক সুরক্ষা সংগঠন হোয়াইট হেলমেটস। সিরিয়ায় মাঠ পর্যায়ে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী এবং উদ্ধারকাজের যন্ত্রপাতির ঘাটতি রয়েছে বলে জানায় সংগঠনটি।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপি শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ৯০ ভাগ মানুষ সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল, খাদ্যের মজুত সেখানে দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।