আগামী মার্চ থেকে দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল কম উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। রুশ তেলের ওপর পশ্চিমাদের মূল্যসীমা বেঁধে দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক এ ঘোষণা দেন।
রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেয়ার পর, এবার তেল উৎপাদন কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। আগামী মার্চ থেকে দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। নতুন এই সিদ্ধান্তে রাশিয়ার তেল উৎপাদন কমে যাবে শতকরা ৫ শতাংশ। তবে, এরইমধ্যে বিশ্ববাজারে হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে তেলের দাম।
মস্কোর এ ঘোষণার পরপরই শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিশ্ববাজারে একলাফে ব্যারেলপ্রতি দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বেড়ে ৮৬ দশমিক ৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। জ্বালানি তেল উৎপাদনের বিষয়ে ওপেক প্লাসের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার অপরিশোধিত রুশ তেল ও তেলজাত পণ্যের দাম ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং জি-সেভেন জোট। রুশ তেলের ওপর পশ্চিমাদের ওই মূল্যসীমা বেঁধে দেয়ার প্রতিক্রিয়াতেই এ সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে মস্কো। একইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-সেভেন জোটের দেশগুলোর কাছে তেল বিক্রি বন্ধের কথাও জানায় ক্রেমলিন।
এর আগে, গেল সপ্তাহে রাশিয়ার পরিশোধিত জ্বালানি পণ্যের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেয় ইইউ। ডিজেলসহ ব্যয়বহুল জ্বালানির দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে জোটটি। ইইউর এই সিদ্ধান্ত মেনে চলা দেশের কাছে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে ডিক্রি জারি করে রাশিয়া।
বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশটির এমন ঘোষণার পর থেকে বিশ্ব বাজারে আরও সংকট সৃষ্টি হতে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন বিশ্লেষকরা। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর মস্কোর ওপর নেমে আসে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার খড়্গ। এর জবাবে পশ্চিমাদের তেল ও জ্বালানি সরবরাহ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন পুতিন।