যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ত্রাণ পাঠাতে অনুমতি দিয়েছে বাশার আল আসাদ সরকার। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিরিয়া সরকার এক বিবৃতিতে এই অনুমোদন দেয়। খবর সিএনএনের।
গত সোমবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) শক্তিশালী ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশ দুটিতে মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে মারা গেছেন ২০ হাজার ২১৩ জন। আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫০০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই বিপর্যয়ের মধ্যেও সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নানা বিধিনিষেধের কারণে ত্রাণ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় দামেস্ক ও বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ভূমিকম্প দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার। সিরিয়া সরকার সাহায্য পাঠানোর অনুমোদন দিলেও কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলছে, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই তীব্র শীতের কারণে দ্বিতীয় দফায় আরেক বিপর্যয় ঘনিয়ে আসতে চলেছে সিরিয়ায়। এতে সিরিয়ায় উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে দেশটির নাগরিক সুরক্ষা সংগঠন হোয়াইট হেলমেটস। সিরিয়ায় মাঠ পর্যায়ে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী এবং উদ্ধারকাজের যন্ত্রপাতির ঘাটতি রয়েছে বলে জানায় সংগঠনটি।
এদিকে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিরিয়ায় জাতিসংঘের ত্রাণ নিয়ে দ্বিতীয় বহর ঢুকেছে। তবে ত্রাণকর্মীরা বলছেন, আরও সহায়তা দরকার।
দেশটিতে ভূমিকম্পে আহতদের সেবা দিতে চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনের ২০ শতাংশ সরঞ্জামও নেই বলে জানা গেছে। এছাড়াও খাদ্য ও পানি সংকটে হাজার হাজার মানুষ দিন পার করছেন।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপি শুক্রবার জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ৯০ ভাগ মানুষ সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল, খাদ্যের মজুত সেখানে দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।