যুদ্ধের মধ্যেই প্যারিস সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) প্যারিসের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলজের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে তার। খবর এএফপি’র।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, জেলেনস্কিকে আবার সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ২ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। জার্মানি জানিয়েছে, যতদিন যুদ্ধ চলবে, ততদিন তারা ইউক্রেনকে সাহায্য করে যাবে। অন্যদিকে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, রাশিয়া কোনোভাবেই এ যুদ্ধ জিততে পারবে না। ফ্রান্স সব সময় ইউক্রেনের পাশে থাকবে।
চ্যান্সেলর ওলফ শলজ বলেছেন, প্রায় এক বছর আগে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। শুরু খেকেই সব রকম মানবিক এবং সামরিক সাহায্য পাঠাচ্ছে তারা। জার্মানি যুদ্ধের শেষদিন পর্যন্ত এভাবেই ইউক্রেনের পাশে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এ বৈঠকের আগে শলজ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় ইউক্রেনের পাশে আছে। বৃহস্পতিবার ইইউ এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি জারি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুদ্ধের প্রথম দিন থেকে জার্মানি এবং ফ্রান্স ইউক্রেনকে সাহায্য করছে। অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এবং অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এভাবেই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো হবে বলে তিনি আশাবাদী। একইসঙ্গে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া ভাবতে পারেনি এতদিন ধরে তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। রুশ বাহিনী বুঝে গেছে, এই যুদ্ধ তাদের পক্ষে আর জেতা সম্ভব নয়।
এর আগে বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্য সফরে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি দেশটির পার্লামেন্টে ভাষণ দেন। এ সময় তিনি আবার যুদ্ধবিমান দেয়ার আহ্বান জানান। পার্লামেন্টে ভাষণ দেয়ার আগে ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে বৈঠক এবং রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।