সময়টা ভালো যাচ্ছিল না রিয়াল মাদ্রিদের। লা লিগায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধানটা ৮ পয়েন্টে ঠেকেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মাদ্রিদের দলটির। এমন সময় ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচে ৪-১ গোলের জয়ে তো খুশিই হওয়ার কথা রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির। কিন্তু দলের পারফরম্যান্সে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন তিনি। মূলত এগিয়ে যাওয়ার পর ঢিলেমি দেখানোয় শিষ্যদের ওপর নাখোশ তিনি।
ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মিশরের ক্লাব আল আহলিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে স্কোরলাইন দেখে যতটা সহজ জয় মনে হচ্ছে তত সহজে জয় ধরা দেয়নি ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের। খেলার ৯০ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইনে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল লস ব্লাঙ্কোরা। নির্ধারিত সময়ের যোগ করা সময়ে রদ্রিগো ও সার্জিও আরিবাসের গোলে বড় জয় পায় রিয়াল।
ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে দলে ছিলেন না করিম বেনজেমা, থিবো কোর্তোয়া, ফারল্যান্দ মেন্দি, এদার মিলিতাওসহ নিয়মিত একাদশের সাতজন তারকা। তাদেরকে ছাড়াই আধিপত্য ধরে রেখে ফুটবল খেলছিল লস ব্লাঙ্কোরা। প্রথমার্ধের শুরুতে ভিনিসিউস জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ফেদে ভালভার্দের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। কিন্তু এরপরই তাদের খেলায় দেখা দেয় ঢিলেমি।
৬৫ মিনিটে আল আহলির পক্ষে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান আলি মালাউল। ৭৯ মিনিটে তো প্রায় সমতাই এনে ফেলেছিল মিশরের ক্লাবটি। গোলরক্ষক লুনিনের নৈপুণ্যে রক্ষা পায় রিয়াল।
নির্ধারিত সময় শেষের ৩ মিনিট আগে পেনাল্টি মিস করে রিয়ালকে হতাশায় ডোবান লুকা মদ্রিচ। তবে শেষ পর্যন্ত রদ্রিগো ও আরিবাসের গোলে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লস ব্লাঙ্কোরা।
দল জিতলেও ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর যেভাবে রিয়াল খেলেছে, তা পছন্দ হয়নি কোচ আনচেলত্তির। তিনি বলেন, ‘২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া পর আমরা ভেবে নিয়েছিলাম খেলা শেষ এবং একটু বেশিই ড্রিবল করতে শুরু করেছিলাম। যার ফলে আমাদের ছন্দ নষ্ট হয়েছে, খেলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি। আমরা জিতেই গেছি ভেবে বসে ছিলাম, কিন্তু এভাবে ফুটবলে সবকিছু ঘটে না।’
রিয়াল মাদ্রিদ বস মনে করেন, তার দল যেভাবে প্রতিপক্ষকে জায়গা ছেড়ে দিয়েছিল, সেটা আগুন নিয়ে খেলার শামিল। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব নিশ্চিন্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এটা আগুন নিয়ে খেলার মতো, এটা হতে দেওয়া যাবে না। আমাদেরকে টানা ভালো খেলে যেতে হবে এবং ম্যাচের শেষ পর্যন্ত মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। এই টুর্নামেন্টে আমাদের পাওয়ার খুব বেশি কিছু নেই, তবে হারানোর আছে অনেক কিছু।’
তবে শেষ পর্যন্ত ভুল শুধরে যেভাবে তার দল জিতেছে, তাতে খুশি ডন কার্লো।