লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় একটি পরিত্যক্ত কোল্ডস্টোরেজ থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণীর পরিচয় মিলেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর হাসপাতালে গিয়ে তার মা মনি বেগম ও বড় বোন রোকেয়া বেগম তার পরিচয় শনাক্ত করেন। নিহত তরুণীর নাম মাহিনুর বেগম।
এর আগে পুলিশ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের মজুচৌধুরীর হাট এলাকার একটি পরিত্যক্ত কোল্ডস্টোরেজের ভেতর থেকে মাহিনুর বেগমের মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
রাতেই নিহত মাহিনুর বেগমের বড় মো. তামিম সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট সড়কের পাশে একটি পরিত্যক্ত কোল্ডস্টোরেজের ভেতরে এক তরুণীর মরদেহ দেখতে পায় এক শিশু। পরে সে চিৎকার দিয়ে এলাকার লোকজনকে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা ২-৩ দিন পূর্বে তরুণীকে খুন করে এখানে ফেলে রেখে যায়।
নিহত মাহিনুর বেগমের মা মনি বেগম বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর বিসিক শিল্পনগরীর একটি চকলেট কারখানায় চাকরি করতেন মাহিনুর। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে চাকরির ৩ মাসের বকেয়া বেতন আনতে বের হন। ওইদিন টাকার জন্য মাহিনুর কারখানাতে যান। বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি।’
মাহিনুরের বোন রোকেয়া বেগম বলেন, ‘নিহত মাহিনুর বেগম স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন। তানজিমা শারমিন ইমু নামের তার ৯ বছরের একটি মেয়েসন্তান রয়েছে। ওই মেয়েটি তার সঙ্গে মাহিনুরের বাবার বাড়িতে থাকতেন। গত শুক্রবার মাহিনুর তার মেয়েকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।’
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন জানান, পরিচয়হীন তরুণীর পরিচয় মিলছে। রাতেই নিহত মাহিনুর বেগমের বড় ভাই তামিম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে।