তুরস্ক ও সিরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ হাজার ভ্রাম্যমাণ বাড়ি, ফিল্ড হাসপাতাল পাঠাচ্ছে কাতার। গত মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানিয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ ঘরগুলোর পাশাপাশি উদ্ধারকারীদের একটি টিম, ত্রাণসামগ্রী, পর্যাপ্ত পরিমাণ তাঁবু ও শীতবস্ত্রও পাঠাবে কাতার।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ডেইলি সাবাহ এ তথ্য জানায়।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, এটা সিরিয়া ও তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তায় অবদান রাখতে কাতারের প্রচেষ্টার অংশ।
এদিকে আল জাজিরার সাংবাদিক আলউদেইদ কাতারের এক বিমানঘাঁটি থেকে বলেন, ‘আমরা সি-১৩০ মডেলের একটি বিমানে আছি যেটি তুরস্কের উদ্দেশে রওনা হবে। এর ক্রুরা ভ্রাম্যমাণ বাড়িস্থাপন কার্যক্রমে অংশ নেবেন।’
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য আকাশপথে মানুষ ও পণ্য পরিবহন চালুর নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোরে সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। মাত্র ৪৫ সেকেন্ডের ভূকম্পনেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দুই দেশের কয়েক হাজার বাড়িঘর। হতাহত হন হাজার হাজার মানুষ। নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা পাঠাতে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এরই মধ্যে ১১০ জন উদ্ধারকর্মী পাঠিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে ৬০ সদস্যের উদ্ধারকারী দল। এগিয়ে এসেছে চীন ও তাইওয়ান। এদিকে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।