যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ত্রাণ সরবরাহের জন্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করলেও দামেস্ক সরকারের সঙ্গে কাজ করার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানে থাকবে।
মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর এএফপি’র।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা ন্যাটো মিত্রের কাছে দুটি উদ্ধার দল পাঠানোর পর তুরস্ককে আরো সহায়তা পাঠানোর আশা করছে। তুরস্কে সংঘটিত ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা রেকর্ড গড়ার দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে তুরস্ক ও সিরিয়া দুই দেশ মিলে নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে।
তুরস্ক ও সিরিয়া কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। খবরে বলা হয়, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ হাজার ৫৩০ জনে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিরিয়াতেই মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত আমাদের অংশীদার রয়েছে। আর তারা সেখানে জীবন রক্ষাকারী সহায়তার সমন্বয় করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সিরিয়ার মানুষকে এই বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার জন্য সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ঠিক যেভাবে আমরা সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের প্রধান মানবিক দাতা ছিলাম।’
‘আমি এখানে জোর দিয়ে বলতে চাই যে, এই তহবিল গুলো অবশ্যই যেন সিরিয়ার জনগনের কাছে যায়, শাসকের কাছে নয়। সিরিয়ার শাসকের ব্যাপারে আমাদের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হবে না।’
ভূমিকম্পে তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি শহরে ৯০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া মৃতদের স্মরণে ঘোষণা করা হয়েছে ৭ দিনের জাতীয় শোক। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।