২০৩০ বিশ্বকাপের স্বাগতিক হতে আবেদন করবে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, প্যারগুয়ে ও চিলি। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে চার দেশ। বিশ্বকাপের শতবর্ষ উদ্যাপন উরুগুয়ের মাটিতে। আসরটি সফলভাবে আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী আয়োজকরা।
চার বছর পরপর আয়োজন করা হয় বিশ্বকাপ। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের মহাযজ্ঞের দিকে চোখ থাকে গোটা বিশ্বের। কোন আসর কত চমৎকার আয়োজন হলো। কারা এগিয়ে থাকল আয়োজক হিসেবে। কাতারের মনোমুগ্ধকর আয়োজন স্মরণীয় হয়ে থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের মনে।
২০২৬ সালের আয়োজক নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। ২০৩০ বিশ্বকাপ হবে শতবর্ষী আসর। যার আয়োজক হতে এরই মধ্যে অপেক্ষায় অনেক দেশ। যেখান থেকে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল সেই উরুগুয়ে চাইছে এবার বিশ্বকাপের আয়োজক হতে।এর সঙ্গে থাকবে আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে এবং চিলি।
লাতিন আমেরিকায় বিশ্বকাপ সবশেষ আয়োজন হয়েছিল ২০১৪ সালে ব্রাজিলে। এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল সেলেসাওরা। আবারও দক্ষিণ আমেরিকার মাটিতে বিশ্বকাপ ফেরাতে চায় আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে ও চিলি। চারটি ফেডারেশন যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের নিলামে অংশ নেবে। আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া।
তিনি বলেন, ‘দিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের চারটি দেশের ইতিহাসে। আমরা একটি স্বপ্ন পূরণ করতে একমত হয়েছি। আমরা জানি, এটা অনেক বড় একটি অঙ্গীকার। ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন অনেক কঠিন একটি বিষয়। আশা করি, আমরা সেই সুযোগ পেলে সফলভাবে আয়োজন করতে পারব। আশা করি, আমরা ফিফাকে এটা বোঝাতে সক্ষম হব যে, আমরা সক্ষম বিশ্বকাপ আয়োজন করতে এবং প্রথম বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারব।’
কনমেবলের চারটি দেশ এই নিলামে অংশ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলেও গুঞ্জন রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে আরও একটি লাতিন দেশ। সেটি হতে পারে বলিভিয়া। শেষ পর্যন্ত দেশটি যোগ দিলে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন হতে পারে ৫ দেশে।
২০২৪ সালের ফিফা কনগ্রেসে নির্ধারণ হবে কোন দেশ হচ্ছে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ।