তুরস্কে সংঘটিত ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা রেকর্ড গড়ার দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে তুরস্ক ও সিরিয়া দুই দেশ মিলে নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তুরস্ক ও সিরিয়া কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। খবরে বলা হয়, তুরস্কে নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ১০৮ জন, আর সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৫৩০ জন।
এর আগে, ১৯৯৯ সালে আঘাত হানা ৭.৪ মাত্রার এক ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৭ হাজার মানুষ প্রাণ হরায়। আর আহত হয় ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ। এবার এরই মধ্যে আহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এ ভূমিকম্প তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে। এর ১১ মিনিট পরই আঘাত হানে ৭.৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প। তুরস্ক-সিরিয়া ছাড়াও এসব ভূমিকম্প পাশের সাইপ্রাস ও লেবাননেও অনুভূত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, এদিন ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ান্তেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল কাহরামানমারাস শহরে।
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দুর্যোগের মাত্রা যতই স্পষ্ট হয়ে উঠছে, নিহতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তত বাড়ছে। ভয়াবহ এ দুর্যোগে হাজার হাজার শিশু মারা যেতে পারে।’
১৯৩৯ সালের পর তুরস্কে আঘাত হানা ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ ভূমিকম্প কেবল তুরস্কেই প্রাণহানির কারণ হয়নি; সিরিয়াতেও বহু মানুষ নিহত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যানুসারে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯৩২ জন প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে ৩ মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ঘোষণায় এরদোয়ান বলেন, ভূমিকম্প বিপর্যস্ত এলাকার অংশ হিসেবে ১০টি শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষিত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।