২০২২ সালের আগস্টে ছুরিকাহত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি। দ্য নিউইয়র্কারকে দেয়া এ সাক্ষৎকারে তিনি জানান, তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। অবশ্য কারো সাহায্য ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারলেও নিজ হাতে লিখতে কিংবা কিছু টাইপ করতে পারছেন না।
গত বছরের ১২ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়ার সময় লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলা চালায় এক যুবক। সেই হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও এক চোখ হারান তিনি। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার লিভার এবং এক হাত। ঐ হামলার পর প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে নিজের শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এ লেখক।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্কারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রুশদি জানান, এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন তিনি। বৃদ্ধাঙ্গুল, তর্জনী ও হাতের তালুর একটি অংশে অনুভূতি কিছুটা ফিরে পেয়েছেন। তবে আঙুলের অগ্রভাগে অনুভূতি কম থাকায় কলম দিয়ে যেমন লিখতে পারছেন না, তেমনি টাইপও করতে পারছেন না।
যদিও এখন কারো সাহায্য ছাড়াই তিনি দাঁড়াতে পারছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। নিজের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের মতো জটিল মানসিক সমস্যার কথাও বলেছেন তিনি।
হামলার পর সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছিল, রুশদির ওপর ওই হামলা কতটা ‘নিষ্ঠুর’ ও প্রাণঘাতী ছিল, সে বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলিস। তিনি জানিয়েছিলেন, রুশদির বুকে ১৫টি গভীর ক্ষত রয়েছে এবং তিনি এক চোখ হারিয়েছেন। গলায় তিনটি গুরুতর জখমও রয়েছে। তার এক হাত অক্ষম হয়ে গেছে।
নিউইয়র্কের ওই হামলার পর অনেকটা সময় পার হলেও এখন অবধি বেশ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এ লেখক। এদিকে রুশদির ওপর যিনি হামলা চালিয়েছিলেন, সেই হাদি মাতারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।