রিয়াল মাদ্রিদের তারকাদের এই মৌসুমে একটু বেশিই হাসপাতালে দৌড়াতে হচ্ছে। আর তাই দল সাজাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে আরও বড় বিপদে লস ব্লাঙ্কোসরা। ইনজুরির জন্য ছিটকে গেছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ তিন তারকা।
ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন মিশরের ক্লাব আল আহলির মুখোমুখি হবে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। মরক্কোর মাটিতে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে ইউরোপের চ্যাম্পিয়নরা দলে পাচ্ছে না গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া, ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা, লুকাস ভাজকেজ এবং দুই ডিফেন্ডার এডার মিলিতাও ও ফারল্যান্ড মেন্দিকে। এমন খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তবে মাদ্রিদ যদি ফাইনালে উঠতে পারে, তবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কোর্তোয়া, বেনজেমা ও মিলিতাকে দেখা যেতে পারে।
ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন থেকেই মাঠের বাইরে মেন্দি ও ভাজকেজ। গত বৃহস্পতিবার ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েন বেনজেমা ও মিলিতাও। যে কারণে তারা খেলতে পারেননি মায়োর্কার বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের ম্যাচে।
সবশেষ মায়োর্কা ম্যাচের আগে অনুশীলনে কুঁচকিতে চোট পান গোলরক্ষক কোর্তোয়া। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, দ্রুতই মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি।
কোর্তোয়া, বেনজেমা ও মিলিতাও আপাতত স্পেনেই আছেন। সেরে উঠলে সপ্তাহের শেষদিকে তারা মরক্কোয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। ক্লাব বিশ্বকাপ শেষে রিয়াল মাদ্রিদকে কোপা দেল রে-র সেমিফাইনালে খেলতে হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে। এরপরই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় লস ব্লাঙ্কোসদের মুখোমুখি হতে হবে লিভারপুলের সঙ্গে। আর এর মাঝেই আছে লা লিগার ম্যাচ।
চোটজর্জর দল নিয়ে সামনের ঠাসা সূচিতে হিমশিম খেতে হলেও সব শিরোপার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন আনচেলত্তি। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো টুর্নামেন্টকেই বাদ দেব না, সব কটিতেই আমরা (শিরোপার) কাছাকাছি আছি… কোপা দেল রে-তে সেমিফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলো, ক্লাব বিশ্বকাপে সেমিতে আছি।’
তবে এমন ব্যস্ত সূচি নিয়ে বিরক্ত তিনি। খেলোয়াড়দের ক্লান্তির দিকে নজর রেখে সূচি সাজানো উচিত বলে মত তার। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই কোনো ম্যাচ বাদ দিতে চাই না, কিন্তু সূচি আশ্চর্যজনক, থামাথামির নাম নেই। লা লিগা, ফিফা, উয়েফা, স্প্যানিশ এফএ সবাই নিজেদের ম্যাচ আয়োজন করতে চায়! তারা আমাদের একটি দিনও বিশ্রাম করতে দেবে না। বিশ্রাম পেলে আমি বিরক্ত হই, তবে খেলোয়াড়রা তো ক্লান্ত হয়ে যায়। প্রতিটি শিরোপার জন্য আমরা সবসময় লড়াই করি। কিন্তু এই ঠাসা সূচির কারণে নিজেদের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের সবাইকে কিছু করতে হবে।’
ক্লাব বিশ্বকাপের আরেক সেমিফাইনালে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লামেঙ্গোর মুখোমুখি হবে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। সেমিফাইনালের দুই বিজয়ী শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) টুর্নামেন্টের ফাইনালে লড়বে।