এতদিন জানা ছিল, ভূমিকম্প কবে হবে তা আগে থেকেই জানা সম্ভব নয়। তবে সেই ধারনার বোধহয় অবসান ঘটতে চলেছে। কারণ, তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তে সংঘটিত ভূমিকম্পের তিনদিন আগেই এই বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন এক বিজ্ঞানী। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এই বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।
১৯৩৯ সালের পর তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে ৬ ফেব্রুয়ারি। এই মধ্যে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস-এর আশঙ্কা, নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে ফ্র্যাঙ্ক হজারবীট নামে ওই বিজ্ঞানীর সতর্কবার্তা মানলে হয়তো ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির পরিমাণ আরও কমানো যেত।
ফ্র্যাঙ্ক হজারবীট মূলত সোলার সিস্টেম জিওমেট্রি সার্ভে বা এসএসজিইওএস হয়ে কাজ করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ হলো ভূমিকম্প সংক্রান্ত বিষয়াবলী নিয়ে গবেষণা করা। ফ্র্যাঙ্ক হজারবীট তার ৩ ফেব্রুয়ারিতে করা টুইটে বলেছিলেন, খুব শিগগিরই দক্ষিণ ও কেন্দ্রী তুরস্ক, সিরিয়া, জর্ডান এবং লেবাননে কোনো একটি অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হবে।
ফ্র্যাঙ্ক হজারবীট একটি ম্যাপও শেয়ার করেছিলেন তার টুইটে। যেখানে দেখানো হয়েছিল, ভূমিকম্প হলে কোন কোন এলাকা কবলিত হবে। তার সেই টুইটটি তুরস্কের ভূমিকম্পের পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে। নেটিজেনরা বেশ অবাকই হয়েছেন বিষয়টি দেখে।
তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তে ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর ফ্র্যাঙ্ক হজারবীট এক টুইটে লিখেন, তিনি কেন্দ্রীয় তুরস্কে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্প কবলিত সকলের প্রতি সহমর্মী।
হজারবীট আরও লিখেন, ‘আমি আগেই বলেছি, শীঘ্র বা পরে এই অঞ্চলে এটি ঘটারই কথা ছিল। যার সঙ্গে ১১৫ এবং ৫২৬ সালে সংঘটিত ভূমিকম্পের সাদৃশ্য রয়েছে। ভূমিকম্পগুলো সবসময়ই গ্রহের ভূ-অভ্যন্তরীণ কাঠামোর জ্যামিতির পরিবর্তনের কারণে সংঘটিত হয়।’