ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেয়ার মতো হুমকি দিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী আয়েশা মুখার্জী। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি ভারতীয় এই ওপেনারের। যার জন্য আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন তিনি।
গেল বছরই শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় বাঙালি বংশদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী আয়েশা মুখার্জীর। এরপর থেকেই ধাওয়ানের নামে একের পর এক অপপ্রচার করছেন আয়েশা, এমনকি তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারও ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি ভারতীয় এই ওপেনাররের। আর সে কারণেই ধাওয়ান আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জি নিউজসহ ভারতীয় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ধাওয়ান আদালতে জানিয়েছেন, আয়েশা প্রায়ই তার ক্যারিয়ার শেষ করে দেয়ার মতো হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার নামে নানা ধরনের পোস্ট দিচ্ছেন। এমনকি আইপিলে তার দল দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিক ধীরজ মালোহোর্তার কাছেও মেসেজের মাধ্যমে তার নামে বাজে কথা বলছেন। এতে নিজের ক্যারিয়ারে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন ধাওয়ান।
সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দিল্লির পাতিয়ালা হাউস আদালতে সাবেক স্ত্রী আয়েশার নামে করা মানহানির মামলায় রায় দেন আদালত। যেখানে বিচারক হরিশ কুমার বলেন, ‘আয়েশার নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকতেই পারে। তবে সেই অভিযোগ করার একটি পদ্ধতি আছে। আয়েশা চাইলে তার অভিযোগ আদলতে এসে করতে পারেন। কিন্তু এভাবে কারও সম্মানহানি করা যায় না।’
বিচারক আরও বলেন, ‘আয়েশা এখন থেকে শিখরের কোনো আত্মীয়, বন্ধুকে কোনো মেসেজ দিতে পারবেন না। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শিখরের নামে কিছু বলতে পারবেন না। যদি তার কিছু বলার থাকে তাহলে সেটা আদালতে এসে বলতে হবে। তা না হলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২০১২ সালে প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ভালোবেসে ১০ বছরের ছোট শিখর ধাওয়ানকে বিয়ে করেন আয়েশা। এরপর এই জুটির একটি পুত্র সন্তানও হয়। আয়েশার ভালোবাসায় তার আগের ঘরের দুই সন্তানকেও দত্তক নেন ধাওয়ান। কিন্তু ২০২১ সালে এসে এই ভালোবাসার সম্পর্ক রুপ নেয় ডিভোর্সে।