আবারও ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে তুরস্কের মধ্যবর্তী অঞ্চলে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। দ্য ইউরোপীয়ান মেডিটারেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
ইএমএসসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল প্রায় দুই কিলোমিটার।
এদিকে, তুরস্কে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংঘটিত ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর অন্তত ১০০টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এখনো তুরস্কে রিখটার স্কেলে ৫ থেকে ৬ মাত্রার আরও কিছু ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজ ইউএসজিএস-এর বরাত দিয়ে বলেছে, সোমবার সকালে সংঘটিত ভূমিকম্পের পর অনুভূত শতাধিক আফটারশকের অধিকাংশেরই মাত্রা ছিল ৪ এর বেশি। সংস্থাটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এই অবস্থায় এই অঞ্চলে ৫ থেকে ৬ মাত্রার বেশি আফটারশক আসতে পারে। এমনটা হলে তা পরস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলবে।
এক বিবৃতিতে ইউএসজিএস বলেছে, ‘মূল ভূমিকম্পের পর সময় যত বাড়ে আফটারশকের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতা ততই কমতে থাকে। যাইহোক ৫ থেকে ৬ মাত্রার বেশি আফটারশক এখনও ঘটতে পারে। যা উদ্ধারকারী দল ও জীবিতদের জন্য ক্রমাগত হুমকি নিয়ে আসতে পারে।’
এদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সবশেষ খবর অনুযায়ী, দেশ দুটিতে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।