তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ান্তেপে মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন সাংবাদিক ইয়াদ কুর্দি। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে যখন ভূমিকম্প আঘাত হানে বাড়িতেই ছিলেন তারা। তার মনে হয়েছিল, এই ভূমিকম্প মনে হয় কখনো থামবে না। আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে তারা ছুটে বেরিয়ে ছিলেন শুধু পায়জামা পরে।
সিএনএনকে এই সাংবাদিক বলেন, ‘মনে হচ্ছিল, এই কাঁপুনি কখনো থামবে না।’তিনি বলেন, ‘আমরা আতঙ্কে শুধু পায়জামা পরে বের হয়েগিয়ে ছিলাম। আধা ঘণ্টা বৃষ্টির মধ্যে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। এরপর কম্পন থামলে ঘরে গিয়ে কোট আর জুতা পরে নেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত এক হাজার ২০০ জন ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ছয় হাজারের বেশি মানুষ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নূরদাগি শহরের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্প। অঞ্চলটি সিরিয়ার সীমান্তবর্তী।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্কের সাতটি প্রদেশের অন্তত দশটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরগুলো হলো গাজিয়ান্তেপ, কাহরামানমারাস, হাতে, ওসমানিয়া, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস। এছাড়া সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা এবং লাকাতিয়া শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভূমিকম্পে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ৯১২ জন নিহত হয়েছেন এবং ৫ হাজার ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাতে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে ৩১২ জনের বেশি নিহত এবং এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।