রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সাধারণ ইউক্রেনীয়দের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে স্পেন। স্প্যানিশ সরকারের তত্ত্বাবধানে মিলিটারি ট্রেনিং সেন্টারে দেয়া হচ্ছে এ প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি যুদ্ধের ময়দানে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে কীভাবে টিকে থাকা যায়, শেখানো হচ্ছে সেই কৌশল। শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উটে আসে এ তথ্য।
ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, কেউ বা আবার প্রকৌশলী। ভিন্ন ভিন্ন পেশা থেকে এলেও এখানে সবার লক্ষ্য অভিন্ন। কীভাবে শত্রুর বুক বুলেটের আঘাতে ছিন্নভিন্ন করে দেয়া যায়। ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর মাতৃভূমি রক্ষার টানে স্পেনে এসে নিচ্ছেন অস্ত্র প্রশিক্ষণ। ৫ সপ্তাহের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে আবার পাড়ি দেবেন ইউক্রেনে। ঝাঁপিয়ে পড়বেন যুদ্ধের ময়দানে।
স্পেনের টলেদো ট্রেনিং কোরডিনেশন সেন্টার-টিটিসিসিতে বর্তমানে ১৯২ জন ইউক্রেনীয় নাগরিককে দেয়া হচ্ছে সামরিক প্রশিক্ষণ। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারীও রয়েছে। ভারী অস্ত্র প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রতিকূল আবহাওয়ায় গেরিলা হামলার কৌশলও শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের। প্রতিদিন টানা ১০ ঘণ্টা করে চলে অনুশীলন কার্যক্রম।
একজন প্রশিক্ষণার্থী বলেন, খুবই কঠিন প্রশিক্ষণ। কিন্তু কোনো উপায় ছিল না। নিজ দেশকে রক্ষায় আজ প্রশিক্ষণ নিতে হচ্ছে।
একজন প্রশিক্ষক বলেন, দেশ প্রেমের টানে তারা এখানে এসেছে। আমরা সাধ্যমতো তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। ভালো করছে। আশা করি যুদ্ধের ময়দানে এই অনুশীলন কাজে লাগাতে পারবে।
স্প্যানিশ সামরিক বাহিনীর এ ট্রেনিং সেন্টারে অস্ত্র প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জার্মানির তৈরি অত্যাধুনিক লেপার্ড ট্যাংক চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনার কথা ভাবছে স্পেন সরকার। যাতে খুব দ্রুত রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানির ট্যাংক দিয়ে লড়াই করতে পারে ইউক্রেন। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি স্পেনের সামরিক বাহিনী।