ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন, অকেজো সিগন্যাল কিংবা প্রাণনাশের শঙ্কায় রেললাইনে লাল নিশান টাঙানোর প্রথা বহুদিনের। বিপদ সংকেতের সেই লাল নিশান উড়ছে রাজধানীর মগবাজার রেললাইনের লেভেল ক্রসিংয়ে।
অথচ প্রতিদিন ২০২টি ট্রেন চলাচল করে ব্যস্ত এই লাইন দিয়ে। একইসঙ্গে সড়কপথে শত শত যানবাহন পার হয় গুরুত্বপূণ এই লেভেল ক্রসিং দিয়ে। গেটম্যানরা বলছেন, ক্রসিংয়ের পুরো সিগন্যাল ব্যবস্থা বিকল, তাই লাল নিশানা উড়িয়ে সতর্ক করা হচ্ছে চালককে।
বিকল হয়ে পড়ে আছে ট্রেন চলাচলের আগাম সংকেত জানিয়ে দেয়ার বৈদ্যুতিক ট্রান্সফারমার। অকেজো জরুরি ট্রেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও। কাজ করে না এখানকার লোহার ব্যারিকেড।
মহাখালী লেভেল ক্রসিংয়ে আছে আশেপাশের তিনটি ক্রসিংয়ের বৈদ্যুতিক টেলিযোগাযোগ সংকেত দেয়ার কেন্দ্রীয় সার্ভার। এটিও বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে ট্রেন যাওয়া আসার কোনো খবর থাকে না গেটম্যানদের কাছে।
ঢাকার বাইরের লেভেল ক্রসিংগুলো আরও অরক্ষিত। প্রায় তিন হাজার ক্রসিংয়ে দেড় হাজারই অবৈধ। গেটম্যান তো দূরের কথা, ব্যারিকেডও থাকে না এসব ক্রসিংয়ে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত ৫ বছরেই মারা গেছে সাড়ে তিন শতাধিক।
এমন পরিস্থিতিতে রেলযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আধুনিক সয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থার প্রবর্তনের দাবি বিশেষজ্ঞদের। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ কাজী সাইফুন নেওয়াজ সময় সংবাদকে বলেন, আমাদের ধীরে ধীরে সয়ংক্রিয় ব্যবস্থার দিকে যেতে হবে। এ ছাড়া লেভেল ক্রসিংয়ের অপারেশনের সঙ্গে ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখতে হবে। এতে করে রেল সেবা যেমন ভালো হবে, তেমন দুর্ঘটনাও কমবে।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। লেভেল ক্রসিংয়ের গেটগুলোতে সয়ংক্রিয় ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, রেললাইনের ওপর সব চেয়ে বেশি অবৈধ লেভেল ক্রসিং বানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।