সামনের দিনগুলোতে যুদ্ধের ময়দানে টিকে থাকা আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিয়মিত ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সেনা উপস্থিতি আরও বাড়াচ্ছে রাশিয়া। এতে যুদ্ধের ময়দানে লড়াইয়ে টিকে থাকা বেশ কঠিন হবে। খবর আনাদুলু এজেন্সির।
শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ১১৬ ইউক্রেনীয়কে ছেড়ে দেয় রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা দেয়া কারামুক্তির পর একটি বাসে করে তাদের ইউক্রেনের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের শীর্ষ উপদেষ্টা।
একই দিন বিশেষ ক্যাটাগরিতে ৬৩ জন রুশ সৈন্যকে ছেড়ে দেয় কিয়েভ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় এ বন্দিবিনিময় বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি রাশিয়া। ইউক্রেনের মারিওপোলে লড়াইয়ের সময় বন্দি হয়েছিল এই সেনারা।
দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময়ের মধ্যেই ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে টিকে থাকা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সেনা উপস্থিতি আরও বাড়ানো হচ্ছে অভিযোগ করে জেলেনস্কি বলেন, এরই মধ্যে বাখমুত শহরে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, চলমান যুদ্ধের ৩৪৬ দিন পার হলো। সময় যত যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই জটিল হচ্ছে। সামনের দিনগুলো আরও কঠিন হবে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে তারা আরও সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। এই মুহূর্তে বাখমুত, ভুহলেদার লিমান শহরের পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
এদিকে দোনেৎস্কের রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হতাহত হন বেশ কয়েকজন। এ হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করা হলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি জেলেনস্কি প্রশাসন।