ইসরাইল-ফিলিস্তিন সহিংসতা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এছাড়া দু’পক্ষের সংঘাত বন্ধে দ্রুত কূটনৈতিক আলোচনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া বিষয়ক সমন্বয়ক ওয়েনেসল্যান্ড।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েনেসল্যান্ড সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন কমে আসায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
প্রায় প্রতিদিনই ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে। দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আহ্বান জানালেও, তেল আবিবের দিক থেকে সাড়া না মেলার অভিযোগও করছে ফিলিস্তিন প্রশাসন। সম্প্রতি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে এযাবৎকালের সবচেয়ে কট্টর-ডানপন্থি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে ইহুদি বসতি স্থাপনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে ইসরাইল। এতে সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া বিষয়ক সমন্বয়ক ওয়েনেসল্যান্ড বলেন, ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলগুলোর মধ্যে বাড়তে থাকা সহিংসতা পরিস্থিতিকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন কমে আসার কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছেন তিনি।
ইসরাইলে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ফিলিস্তিনের নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতার মধ্যে কূটনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া কঠিন বলেও স্বীকার করেছেন ওয়েনেসল্যান্ড। তবে ‘শান্তি প্রক্রিয়া মরে গেছে’ এমন কথাও বলতে নারাজ তিনি। ওয়েনেসল্যান্ড বলেন, ইসরাইলে যে সরকারই থাকুক, রামাল্লায় যে কর্তৃপক্ষই থাকুক, এই অবস্থাকে পাশ কাটিয়ে দুপক্ষেরই আলোচনার টেবিলে বসা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম মাসেই দুপক্ষের সহিংসতায় ৩৫ জনের বেশি ফিলিস্তিন এবং ৭ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই।