রাশিয়ার পরিশোধিত জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ডিজেলসহ ব্যয়বহুল জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার। আর তুলনামূলক কমদামি জ্বালানির সর্বোচ্চ মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ ডলার।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, রোববার (৫ জানুয়ারি) থেকে নতুন এই মূল্য কার্যকর হবে। তবে রাশিয়া বলছে, ইইউর বেধে দেয়া দামে তারা তেল বিক্রি করতে রাজি নয়।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর মস্কোর ওপর নেমে আসে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার খড়গ। রাশিয়ার নাগরিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর দেয়া হয় কঠোর নিষেধাজ্ঞা। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পশ্চিমাদের জ্বালানি সরবরাহ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন পুতিন। এরপরই বিশ্ববাজারে লাগামহীন হয়ে পড়ে জ্বালানির দাম। দেশে দেশে দেখা দেয় জ্বালানি সংকট।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এবং মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানির দাম ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-সেভেন জোট। এবার রাশিয়ার পরিশোধিত জ্বালানি পণ্যের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছে ইইউ।
ডিজেলসহ ব্যয়বহুল জ্বালানির দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে জোটটি। আর তুলনামূলক কমদামি জ্বালানির সর্বোচ্চ মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ ডলার। রোববার থেকেই নতুন এই দাম কার্যকরের কথা জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়াসহ জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলো।
তবে পশ্চিমা জোটটির নতুন এই সিদ্ধান্তে চরম নাখোশ রাশিয়া। এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইইউর পক্ষ থেকে জ্বালানির সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দেয়াকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছে মস্কো। জোটটির এমন সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা তৈরি করবে বলেও সতর্ক করেছে পুতিন প্রশাসন।
একই সঙ্গে ইইউর এই সিদ্ধান্ত মেনে চলা দেশগুলোর কাছে বুধবার (৮ জানুয়ারি) থেকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে ডিক্রি জারি করেছে রাশিয়া। এই ডিক্রি চলতি বছরের জুলাইয়ের ১ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।