মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জান্তা বাহিনীর ক্ষমতা দখলের দুই বছর পূর্ণ হলো বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি)। চলতি বছর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। তবে জান্তার অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অবাধ হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জালিয়াতির অভিযোগ তুলে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চিসহ হাজারো নেতাকর্মীকে।
তবে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে জান্তা সরকার। প্রতিটি রাজ্যে গড়ে ওঠে আলাদা সশস্ত্র গোষ্ঠী। প্রতিদিনই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
বুধবার মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্ণ হলো। দুই বছরের মাথায় দেশটিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জান্তা সরকার। সংবিধান অনুসারে, আগামী আগষ্টের মধ্যেই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও, তা চলতি বছরের শেষের দিকে হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন হলেও তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। উল্টো চলমান বিক্ষোভের মধ্যে এই নির্বাচন রক্তপাত আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। এর আগে গত সপ্তাহে, নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কঠোর শর্ত দিয়ে আইন জারি করে জান্তা সরকার। নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য দুই মাসের সময় দেয়া হয়।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন বলছে, মিয়ানমারে গত দুই বছরে ১০ লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিকদের ওপর বোমা ও গোলাবর্ষণের কারণে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, ক্ষমতা দখলের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে জান্তা সরকারের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। জান্তা সরকারের সদস্য ও প্রথমবার দেশটির জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।