ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৈঠকে, চলমান সহিংসতা বন্ধে উভয় পক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ সময়, সংঘাত বন্ধে ফিলিস্তিন ইসরাইলের সঙ্গে সংলাপে বসতে প্রস্তুত বলে জানান মাহমুদ আব্বাস।
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) অধিকৃত পশ্চিমতীর সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে বৈঠক করেন তিনি। এসময় সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানান ব্লিঙ্কেন। খবর আল জাজিরার।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলা কয়েক দশকের সংঘাত সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন তুলে ধরেন ব্লিঙ্কেন। ইসরাইলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি। একইসঙ্গে, সংঘাত থেকে সরে আসতে দুই পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান ব্লিঙ্কেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুধুমাত্র সহিংসতা কমানোর জন্যই নয়, ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলিরা যাতে স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, সুযোগ, ন্যায়বিচার এবং সমান মর্যাদা উপভোগ করতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা স্থায়ী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বৈঠকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ইসরাইলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, ‘তেলআবিব কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই একতরফা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’
তবে সংঘাত বন্ধে সংলাপে বসতে প্রস্তুত থাকার কথা উল্লেখ করে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূমিতে ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে চাই আমরা। রাজনৈতিক সংলাপ পুনরায় শুরু করতে মার্কিন প্রশাসন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।
এদিকে, এদিন গাজায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন শত শত মানুষ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তারা। এসময় চলমান সহিংসতার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করার দাবিও জানান বিক্ষোভকারীরা।