পর্তুগালে শিক্ষকদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবিতে প্রতি সপ্তাহেই রাস্তায় নামছেন শিক্ষকরা। নানামুখী আন্দোলন ও অবস্থান ধর্মঘটে চাপে সরকার।
শিক্ষকদের বিক্ষোভ যেন নিয়মিত ঘটনায় রূপ নিয়েছে পর্তুগালে। বেতন ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবিতে গত ডিসেম্বর থেকেই আন্দোলন করে আসছেন দেশটির শিক্ষকরা। বছরের শুরুর দিকে বিক্ষোভের জন্য ছুটির দিনটি বেছে নিলেও কয়েক দিন ধরে ক্লাস বন্ধ রেখে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। সবশেষ গত ২৮ অক্টোবর লিসবনের অন্যতম প্রধান সড়ক এভিনিদা লিভারদাদেতে রাস্তায় নামেন ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষক।
টানা ধর্মঘটেও সরকারের পক্ষ থেকে আশানুরূপ সাড়া না মেলায় ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা। বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন অনেক সাধারণ মানুষ। শনিবারের (২৮ জানুয়ারি) বিক্ষোভে অন্যান্য পেশার কর্মজীবীদের সঙ্গেও নিজেদের বৈষম্যের বিষয় তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা।
একজন আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমি মনে করি এখানে শিক্ষকদের সম্মান একদমই নেই। বছরের পর বছর আমরা চুপ থেকেছি। আর কত! ক্লাস বন্ধ করে রাস্তায় নামতে হচ্ছে এমন পরিস্থিতি আমাদেরও কষ্ট দিচ্ছে, কিন্তু আমরা নিরুপায়।’ আরেকজন বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি আমাদের এমন অবস্থানে নামিয়েছে যে রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সরকার দেখেও না দেখার ভান করছে। আমরা সত্যি আর পারছি না।’
ইউনিয়ন অব অল এডুকেশন প্রফেশনালস-এর ডাকে সাড়া দিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা আসে শনিবারের (২৮ জানুয়ারি) বিক্ষোভ থেকে। কমপক্ষে ১২০ থেকে ১৫০ ইউরো বেতন বাড়ানো না হলে চলমান ধর্মঘট অব্যাহত রাখার কথাও জানান বিক্ষোভকারীরা। এতে সামনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষাবিদরা। সেই সঙ্গে সরকারের জন্যও পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে বলে মনে করেন তারা।