ইউক্রেনকে লেপার্ড ট্যাংক দেয়ার শলজ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ হয়েছে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া ঠেকাতে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থরক্ষায় ইউক্রেনের মতো জার্মানিকেও বিপদে ফেলতে চায় বলে অভিযোগ তাদের।
রাশিয়াকে ঠেকাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে জার্মানির তৈরি অত্যাধুনিক লেপার্ড টু ট্যাংক সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শলজ প্রশাসন। এর প্রতিবাদে ফুঁসছে জার্মানির সাধারণ মানুষ। জনমতের তোয়াক্কা না করে ট্যাংক দেয়ার প্রতিবাদে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানী বার্লিনে জড়ো হন কয়েকশ বিক্ষোভকারী।
এ সময় ইউক্রেনকে বিধ্বংসী সাঁজোয়া যানের মতো ভারী অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে জার্মানি নিজেই রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। এখনই অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে ন্যাটো থেকে নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা জার্মানির তৈরি প্রধান যুদ্ধ ট্যাংক সরবরাহের প্রতিবাদে এখানে একত্রিত হয়েছি। কারণ, এই সংঘাত সবখানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। নতুন করে শুরু হবে স্নায়ুযুদ্ধ, বাড়বে চাপ। আরেকজন বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে। তাই আমরা খুবই শঙ্কা এবং হুমকির মধ্যে আছি। নতুন করে আরেকটি যুদ্ধে জড়ানোর কোনো প্রয়োজন দেখছি না।’
১৯৯০ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ব্যবহার করেছে। ঠিক একইভাবে এখনও ইউক্রেনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিজেদের স্বার্থরক্ষায় আমাদের বিপদে ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র।
গেল বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ইউক্রেনকে ১৪টি অত্যাধুনিক লেপার্ড টু ট্যাংক দেয়ার জার্মান সরকারের সিদ্ধান্তের পরই প্রকাশিত এক জরিপে সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রায় দেন ৬৭ শতাংশ জার্মানি।
তবে ইউক্রেনকে ট্যাংক দেয়ার এমন সিদ্ধান্তে কপাল খুলতে যাচ্ছে স্বনামধন্য ক্রাউস মাফাই ভেগমান, রাইনমেটালসহ দেশটির বেশ কয়েকটি অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। ধারণা করা হচ্ছে, সরকার ঘোষিত ১০০ বিলিয়ন ইউরো দেশটির সমরাস্ত্র খাতে ব্যয় হলে পাল্টে যাবে অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র।