রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে এবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে ভিডিওবার্তায় ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলা সম্ভব নয়। খবর ডেইলি মেইলের।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) পূর্ব ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকার একটি হাসপাতালে গোলা হামলার অভিযোগ করে মস্কো। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার পর চারতলা একটি ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংস্তূপের নিচে পড়ে আছে রোগীদের বিছানা আর ওষুধ। ভয়াবহ এ হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে রুশ বাহিনী। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি কিয়েভ।
একই দিন পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। রাশিয়ার ঐ হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হন। চলমান যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ট্যাংক পাওয়ার মধ্যে এবার দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) নিয়মিত ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিহত করতে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। তারা আমাদের একের পর এক শহর ধ্বংস করে চলেছে। আজ সকালেও বেশ কয়েকটি ভবন লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। নিরীহ সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে রুশ বাহিনী।’
এ সময় অত্যাধুনিক ট্যাংক সরবরাহ করায় পশ্চিমা মিত্রদের প্রশংসা করেন জেলেনস্কি। বলেন, এমন সহায়তা অব্যাহত থাকলে রাশিয়ার বিরুদ্ধের ইউক্রেনের জয় অবধারিত।
এদিকে পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনকে ৩২১টি ট্যাংক দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির এক কূটনীতিবিদ। ফ্রান্সে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভাদিম ওমেলশেঙ্কো শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে কোন কোন দেশ কোন কোন মডেলের ট্যাংক দেবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি ভাদিম।