ইরানে আজারবাইজানের দূতাবাসে অস্ত্রধারীর হামলায় একজন নিহতের ঘটনায় উত্তেজনা বাড়ছে তেহরান ও বাকুর মধ্যে। এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যা দিয়ে দূতাবাসের সব কর্মকর্তাকে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট। খবর সিএনএনের।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) তেহরানে আজারবাইজানের দূতাবাসে প্রবেশ করে গুলি চালায় এক অস্ত্রধারী। ওই ঘটনায় দূতাবাসের নিরাপত্তা প্রধান নিহত হন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে পুলিশ।
নিজেদের দূতাবাসে হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আজারবাইজান। এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা অভিহিত করে হামলাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইখান হাজিযাদা বলেন, ‘আমরা দ্রুত হামলাকারীর শাস্তি দেখতে চাই। ভিয়েনা চুক্তি অনুসারে দূতাবাসের নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। আমরা অনেকবার তেহরানকে অবহিত করেছি, কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি।’
হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। একই সঙ্গে ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে এই হামলার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্যে নেই বলেই জানা গেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, ‘এটা কোনো সন্ত্রাসী হামলা নয়। আমরা গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছি। যতদূর মনে হচ্ছে ব্যক্তিগত কারণ।’
ইরানের পুলিশ বলছে, হামলাকারী ইরানি হলেও তিনি বিয়ে করেছেন আজারবাইজানের এক নারীকে। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণেই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। এদিকে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়।