পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনকে ৩২১টি ট্যাংক দেবে বলে জানিয়েছন দেশটির এক কূটনীতিবিদ। ফ্রান্সে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভাদিম ওমেলশেঙ্কো শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে কোন কোন দেশ কোন কোন মডেলের ট্যাংক দেবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি ভাদিম।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের খবরে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র ৩১টি এম-১ আব্রামস ও জার্মানি ১৪টি লোপার্ড-২ এ৬এস মডেলের ট্যাংক ইউক্রেনকে দেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এ ঘোষণার মাত্র কয়েকদিনের মাথায় পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে ট্যাংক পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেন ইউক্রেনের এই কূটনীতিবিদ।
ভাদিম ওমেলশেঙ্কো বলেছেন, ‘আজ, এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দেশ ৩২১টি ভারী ট্যাংক ইউক্রেনকে দেয়ার ব্যাপারে চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।’
সাক্ষাৎকারে ভাদিম ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহ্বানের প্রতিধ্বনি করে আরও বেশি বেশি এবং যত দ্রুত সম্ভব বিদেশি সামরিক সহায়তা কামনা করেন। যাতে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া যায়। তিনি বলেন, ‘যদি এই সহায়তা দিতে দিতে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় লেগে যায় তবে তা অনেক দেরি হয়ে যাবে।’
দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে অত্যাধুনিক ট্যাংক চেয়ে আসছিলেন জেলেনস্কি। কয়েক সপ্তাহের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জার্মানি জানায়, তারা ইউক্রেনকে ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক দেবে। একই দিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে ৩১টি আব্রামস ট্যাংক দেবে বলেও জানায়। এর আগে দেশটিকে ১৪টি চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংক দেয়ার ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
তবে কেবল ট্যাংকে থেমে নেই ইউক্রেনের দৃষ্টি। তারা বিদেশি মিত্রদের কাছে যুদ্ধবিমানও চেয়েছে। ট্যাংকের চাহিদা পূরণের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ‘এফ-১৬’-র মতো চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান চেয়ে বসেছে দেশটি। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ইউরি স্যাক বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী বাধা হলো, অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান না থাকা। এখন আমাদের চাওয়া চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান।’