৮ বছর দেশ শাসনের পরও নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। তার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতিও অধিকাংশের আস্থা অটুট আছে। ভারতে এখনই নির্বাচন হলে কোন দল জয়ী হবে এ বিষয়ে সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে এবং সি ভোটার নামের দুটি সংস্থা জরিপ চালায়। বিভিন্ন বিষয়ে ভারতজুড়ে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯১৭ জনের মতামত নিয়ে নতুন এই জরিপ তৈরি করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
বৃস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, এ মুহূর্তে ভোট হলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এন.ডি.এ জোট ২৮৪ আসন জিতবে।
সমীক্ষাটি বলছে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটও পায়ের তলার জমি শক্ত করেছে। এখনই ভোট হলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট পাবে ১৯১ আসন। কংগ্রেসের নিজস্ব আসনসংখ্যাও আগের জরিপের তুলনায় বাড়বে বলে জানানো হয়। নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীর প্রতি জনগণের আস্থা ও ভরসা বাড়ারও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে জরিপে। ২৯ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, ভারত জোড়ো যাত্রা জনমনে ভালো সাড়া ফেলেছে।
২০২২ সালের আগস্টে, সংস্থা দুটির জরিপে নরেন্দ্র মোদির বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুল গান্ধীর গ্রহণযোগ্যতা ছিল মাত্র ৯ শতাংশ। সে সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিই সেরা বলে মনে করতেন ৫৩ শতাংশ মানুষ। আর বর্তমানে ৬৭ শতাংশই মোদির শাসনে সন্তুষ্ট বলে জানাচ্ছে জরিপ। অন্যদিকে ২৬ শতাংশ মনে করেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে রাহুল গান্ধীর।
ভারতে লোকসভা ভোটের বাকি আরও দেড় বছর। এরই মধ্যে দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা নিয়ে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাই বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে বদ্ধপরিকর।
অন্যদিকে সরকারও চায় সেই ক্ষমতার অংশীদার হতে। এ বিষয়ে নতুন জরিপে ৩৮ শতাংশ মানুষই বর্তমান পদ্ধতি বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। আর ৩১ শতাংশ মনে করেন সরকার ও বিচার বিভাগের মিলেমিশে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া উচিত।