পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার যতই দাবি করছেন, তার সরকার ডলারের দাম ২০০ রুপির নিচে রাখার চেষ্টা করছে ততই যেন দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশটিতে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের দাম ২৬৮ রুপি ৩০ পয়সা ছাড়িয়ে গেছে। খবর জিও নিউজের।
পাকিস্তানের অন্যতম সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার নাগাদ আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে রুপির দাম ২ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) হ্রাস পেয়েছিল ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এর আগে দেশটির ইতিহাসে কখেনো একদিনে এত বেশি পরিমাণে হ্রাস পায়নি রুপির মূল্য।
এদিকে, লেনদেনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলো আন্তঃব্যাংক লেনেদেনে ক্ষেত্রে ডলার প্রতি মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৬৫ টাকা। কারণ, এর আগে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংক একাধিক রেটে ডলার লেনদেন করছিল।
আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে রেট বেধে দেয়া হলেও খোলা বাজারে কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ চলছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন রেটে বিক্রি হচ্ছে ডলার। বলা হচ্ছে, রুপির দাম আরও কমে ডলার প্রতি ২৬৯ রুপিতে দাঁড়াতে পারে এবং কাবুলে সেটি আরও নেমে দাঁড়াতে পারে ২৭০ রুপিতে।
দেশটির কয়েকজন ডলার এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক ডলার ২৭৫ রুপিতে বিক্রয় হয়েছে। তবে বিক্রির পরিমাণ ছিল খুবই সামান্য।
ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির দাম কমতে থাকায় দেশটিতে সোনার দাম আকাশ ছুঁয়েছে। দেশটিতে এক তোলা (সাড়ে ১১ গ্রামের বেশি) সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৫০০ রুপিতে। দেশটির সিন্ধু প্রদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন অল সিন্ধ সারাফ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন এ তথ্য জানিয়েছে।
অল সিন্ধ সারাফ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, তোলায় সোনার দাম ৭ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৫০০ রুপিতে। ১০ গ্রাম সোনার ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে ৬ হাজার রুপি। ১০ গ্রাম সোনার বর্তমান দাম ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬১০ রুপি।