স্বপ্ন পূরণ হয়েছে রংপুরের নাজমুলের। অর্থাভাবে ব্রাজিলের লিগে খেলতে যেতে পারছিলেন না ২০ বছর বয়সী এ ফুটবলার। সময় সংবাদে এ খবর দেখে তাকে ব্রাজিলে যাবার সব খরচ দেয়ার নির্দেশ দিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। পেলের শহর সাওপাওলোতে চার মাস নিজেকে প্রমাণ করে দেশকে প্রতিদান দিতে চান নাজমুল।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে এর আগেও এসেছেন ফুটবলার নাজমুল হোসেন আকন্দ। তবে এবারের আসাটা ভিন্ন। ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের তৃতীয় বিভাগ লিগের ক্লাব সালতো এফসিতে খেলার হাতছানি নাজমুলের সামনে। বাঁধ সেধেছিল মাত্র তিন লাখ টাকা। সময় টেলিভিশনে এ সংবাদ প্রচার হলে তা যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি নাজমুলকে ডেকে নিয়ে সব খরচ দেয়ার কথা জানান।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর রুমে শেষ আশা নিয়ে প্রবেশ করেন ২০ বছর বয়সী নাজমুল। চলতি মাসের মধ্যে ব্রাজিলে যেতে না পারলে আর খেলা হবে না সালতো এফসিতে। সব শুনে তাৎক্ষণিক নাজমুলকে ব্রাজিলে যাওয়ার খরচ দেয়ার নির্দেশ দেন ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক। জাহিদ আহসান বলেন, ‘সময় সংবাদে আমি নাজমুলের খবরটা দেখি। ৩ লাখ টাকার জন্য ও যেতে পারছে না, তাৎক্ষণিকভাবে তার খরচের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’
ইতিহাস রচনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মোহামেডানের নাজমুল। এর আগে যে লাতিন আমেরিকার লিগে পা পড়ার সুযোগ হয়নি কোনো বাঙালির।
গ্রামে একটি মুদি দোকানে কাজ করেন নাজমুলের বাবা। দেশের হয়ে বয়সভিত্তিক সাফ ও এএফসিতে প্রতিনিধিত্ব করা নাজমুল ২০১৯ সালেও সরকারের সহায়তায় ব্রাজিলে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিলেন। মোহামেডানে মাসিক চুক্তিতে খেলা ফুটবলার এবার যাচ্ছেন দেশকে প্রতিদান দিতে।
বিমান টিকিটের ব্যবস্থা হলে ৩১ জানুয়ারি দেশ ছাড়বেন নাজমুল। তারপর ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে নামবেন ক্লাবের হয়ে। মাঝের পথটা লাতিন আমেরিকায় এক যুবকের টিকে থাকার সংগ্রামের! চার মাস নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেই যে সালতো এফসি আনুষ্ঠানিক চুক্তি করবে নাজমুলের সঙ্গে।